(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Thakurpukur Murder Case: ঠাকুরপুকুরে বাবা-মাকে খুনে ছেলের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা আদালতের
Court on Thakurpukur Murder Case: ঠাকুরপুকুরে বাবা-মাকে নৃশংসভাবে খুনে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে ছেলে শোভন সরকার। অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেছে আদালত।
কলকাতাঃ ঠাকুরপুকুরে (Thakurpukur Murder Case) বাবা-মাকে নৃশংসভাবে খুনে ছেলের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা আদালতের (Court)। রাজ্যে এর আগেও একাধিক নৃশংস অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। কখনও অনাহারে, কখনও পরকীয়ায়, সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতি হয়েছেন মা-বাবা। তবে মা-বাবাকে খুন করে একাঘরে রাত কাটানোর ঘটনা যতটা যন্ত্রনা দেয়, ততটাই অবাক করে বাইশে এসে। তবে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ছেলেকে ৯ বছর পর ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেছে আদালত।
বাড়িতেই মাথা কেটে পরেশনাথ-ঊষারানি সরকারকে খুনের অভিযোগ ওঠে ছেলের বিরুদ্ধে
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৫ জুলাই বাড়িতেই ছেলের হাতে খুন হন পরেশনাথ-ঊষারানি সরকার। বাড়িতেই মাথা কেটে পরেশনাথ-ঊষারানি সরকারকে খুনের অভিযোগ ওঠে ছেলের বিরুদ্ধে। তদন্তে জানা যায়, বাড়ির দোতলায় বাবা এবং একতলায় মাকে গলা কেটে খুন করে ছেলে। এখানেই শেষ নয়, নৃশংসভাবে খুনের পরেও দু’জনের মৃতদেহ একতলায় আনার পরে পাশের ঘরে রাত কাটায় ছেলে। এদিকে পরের দিন মিস্ত্রী ডেকে বাড়ির মধ্যে চৌবাচ্চার গর্ত খোঁড়ার সময় সন্দেহ হয় আত্মীয়দের। এরপর সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেয় আত্মীয়রাই। খবর পুলিশের কাছে পৌঁছতেই গ্রেফতার করা হয় ছেলে শোভন সরকারকে। ইতিমধ্যেই কেটে গিয়েছে ৯ বছর। এদিন ঠাকুরপুকুরে বাবা-মাকে নৃশংসভাবে খুনে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে ছেলে শোভন সরকার। অভিযুক্ত ছেলের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেছে আদালত।
চলতি বছরেই মাকে খুন করে পাশেই ছেলের বসে থাকার ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানে
আরও পড়ুন,মেয়ের পর এবার বাবা, বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখরকে ভবানীভবনে তলব
যদিও চলতি বছরেই মাকে খুন করে পাশেই ছেলের বসে থাকার ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের ধনকোড়া এলাকায়। ইতিমধ্যেই ওই অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেফতার করেছে আউশগ্রাম থানার পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মায়ের সঙ্গে তাঁর ছেলে ঝামেলা হয়। মোবাইল নিয়ে গণ্ডোগোল হয় খুব। আর সেই ঝামেলাই উগ্রতার দিকে যায়। মাকে খুন করে ছেলে। পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, মনিকাদেবীর ছেলে অমর দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। ছোট থেকেই তার মানসিক অসুস্থতার চিকিৎসাও চলেছে। এদিকে ছেলে বড় হয়ে যাবার পর মনিকাদেবীর স্বামী পরিমল পাল রান্নার কাজে পর্যটকদের বাসে অসমে গিয়েছেন। বাড়িতে শুধু মা ও ছেলে ছিলেন। তারপরেই ঘটে যায় ওই মর্মান্তিক ঘটনা।