Kolkata News: তিন ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে জুড়ল কাটা আঙুল, সাফল্য কলকাতার নার্সিংহোমে
Health News: কাটা আঙুল জোড়া লাগবে, ভাবতেই পারেনি পরিবার। সেটাই সফলভাবে করে দেখালেন দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: বুড়ো আঙুল দু-টুকরো হয়ে গিয়েছিল পাঁচ বছরের শিশুর। তিন ঘণ্টার অস্ত্রোপচার করে কাটা আঙুল জুড়লেন বালিগঞ্জের (Ballygunge) রিপোজ নার্সিংহোমের চিকিৎসকরা। দ্রুত তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অস্ত্রোপচার করে কাটা আঙুল জুড়লেন চিকিৎসকরা: খেলতে গিয়ে একটা আঙুলই খোয়াতে বসেছিল একরত্তি শিশু। কাটা আঙুল জোড়া লাগবে, ভাবতেই পারেনি পরিবার। সেটাই সফলভাবে করে দেখালেন দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মল্লিকপুরের বাসিন্দা ওই শিশু আপাতত সুস্থ আছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কী জানাচ্ছে পরিবার?
পরিবার সূত্রে দাবি, ১২ জানুয়ারি, খেলতে খেলতে ফোল্ডিং চেয়ারে আটকে তার বাঁ হাতের বুড়ো আঙুল দু টুকরো হয়ে যায়। তড়িঘড়ি তাকে বালিগঞ্জের রিপোজ নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতেই তিন ঘণ্টার অস্ত্রোপচার করে কাটা আঙুল জোড়া লাগান চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা বলছেন, দেহের কোনও অঙ্গ কাটা পড়লে ৪ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে তা জোড়া লাগানো সম্ভব। মল্লিকপুরের বাসিন্দা ওই শিশু এখন সুস্থ রয়েছে। দ্রুতই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গত বছর জটিল অস্ত্রোপচারে সাফল্য মেলে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে এক গর্ভবতী মহিলার পেট থেকে প্রায় দু'কেজি ওজনের টিউমার বের করে আনেন চিকিৎসকরা। ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা অনিন্দিতা পাত্র অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকেই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হতে শুরু করে তাঁর পেট। প্রায় প্রতিদিনই ফুলে যাচ্ছিল পেট। তাতে চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনিন্দিতা। পরীক্ষা করানো হলেই ধরা পড়ে আসল সমস্যা। চিকিৎসকেরা দেখেন যে, অনিন্দিতার পেটে বিশালাকার একটি টিউমার গজিয়ে উঠেছে। তাতে রোগী নিজে তো বটেও, চিকিৎসকরাও আশঙ্কিত ছিলেন। কিন্তু শেষমেশ অস্ত্রোপচারে সম্মত হন দুই পক্ষই। তাতে মেলে সাফল্যও। অনিন্দিতার পেট থেকে বের করা হয়েছিল ১ কেজি ৭৫৫ গ্রাম ওজনের একটি টিউমার।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Ram Mandir: বিশেষ যজ্ঞ ও আরতির আয়োজন, তুমুল ব্যবস্থা কলকাতার রাম মন্দিরে