(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Saradha Scam: সারদার সাড়ে ৬ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি
ED on Saradha Scam: সারদা চিটফান্ডের সাড়ে ৬ কোটির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি।
কলকাতা: সারদার (Saradha Scam) সাড়ে ৬ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি (ED)। সারদা চিটফান্ডের সাড়ে ৬ কোটির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত (Seized)। সারদা ছাড়াও চিটফান্ড সংস্থার (Chit Fund) সুবিধেভোগীদেরও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত। সারদা ছাড়াও, পি চিদম্বরমের স্ত্রী আইনজীবী নলিনী চিদম্বরমের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত। বাজেয়াপ্ত প্রাক্তন বাম বিধায়ক তথা আইপিএস দেবব্রত বিশ্বাসের সম্পত্তি। বাজেয়াপ্ত দেবব্রত সরকার, অসমের প্রাক্তন মন্ত্রী অঞ্জন দত্তের সংস্থার সম্পত্তি।
গতবছর, সারদাকর্তার ছবি কেনার প্রসঙ্গ তুলে হুঙ্কার দিয়েছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, 'সুদীপ্ত সেন, গৌতম কুণ্ডুরা কার ছবি কিনেছিলেন? ভেবেছিলেন সারদা পুরনো হয়ে গিয়েছে? অপেক্ষা করুন, অপেক্ষা করুন ছবি আসছে। শুধু ভাইপো নয়, পিসিকেও যেতে হবে।' ধর্মতলার সভা থেকে নাম না করে হুঙ্কার শুভেন্দুর। সারদা প্রতারণা কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। সারদা-কাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল তৃণমূলের একাধিক উপরমহলের নেতার। যখন ওই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে, তখন তৃণমূলেই ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'সারা বাংলা জানে। সারদা নিয়ে আমি যখন সরব হয়েছিলাম, শুভেন্দু তখন কোথায় ছিলেন? কী করছিলেন? আমি বলেছিলাম সুদীপ্ত সেনের থেকে যাঁরা টাকা নেন তাঁদের মধ্যে একজন শুভেন্দু। ওঁরা আমার ঘাড়ে বন্দুক রেখে, জেলে পাঠিয়ে ওঁরা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। ওকে যদি সিবিআই নাও অ্য়ারেস্ট করে, আমি ৩১৩ ধারা প্রয়োগ করে বিচারপতির অনুমতি নিয়ে ওঁকে কলার ধরে কাঠগড়ায় টেনে আনব, তবে আমার নাম কুণাল ঘোষ। তদন্ত থেকে বাঁচতে ও বিজেপিতে গিয়েছে।'
আরও পড়ুন, 'দিদির দূত'কে পার্থ-অনুব্রতকে নিয়ে প্রশ্ন, 'অস্বস্তিতে' রবীন্দ্রনাথ ঘোষ
অপরদিকে, বাইশের সেপ্টেম্বরে সিবিআইকে বিস্ফোরক চিঠি দিয়েছিলেন দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের মা শর্বরী মুখোপাধ্যায়। চিঠিতে তিনি বলেন, ‘মেয়েকে মানসিক চাপ দিচ্ছে সিআইডি। শুভেন্দু অধিকারী ও সুজন চক্রবর্তীর নামে অভিযোগ করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। সারদার থেকে দুজনেই নিয়েছেন ৬ কোটি টাকা করে। তাঁর সামনেই টাকা দেওয়া হয়েছে বলে বয়ান দিতে দেবযানীকে চাপ। অভিযোগ না করলে আরও ৯টি মামলায় ফাঁসানো হবে তাঁকে'। এই চিঠি নিয়ে সিআইডিকে নিশানা করে ট্যুইট শুভেন্দু অধিকারীর। টুইটে তিনি বলেন, ‘এক সময়ের মর্যাদাসম্পন্ন সিআইডি বাংলার পিসি-ভাইপোর দারোয়ানে পরিণত হয়েছে। ব্যানার্জিদের স্বার্থ রক্ষায় অপরাধকে ইন্ধন দিচ্ছে সিআইডি।'এর আগে শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে ধৃত সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন বলেছিলেন,'দ্বিতীয় চিঠির বয়ানে শুভেন্দু অধিকারীর নাম ছিল। ওঁর নামে বলেছি, লিখেছি।" কতবার টাকা নিয়েছিলেন শুভেন্দু সাংবাদিকদের তরফে সে প্রশ্ন করতেই সুদীপ্ত সেন বলেন, 'সে আমি বিস্তারিত দিয়েছি। অনেক টাকাই নিয়েছে। কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর কথাতেই গিয়েছিলাম।'