Coal Scam Case: কয়লাকাণ্ডে কী করে ইডি-র নজরে আইপিএস জ্ঞানবন্ত
ED Summons IPS: বাংলায় যখন রমরমিয়ে কয়লাপাচার চক্র কাজ চালাচ্ছিল, সেই সময় রাজ্যের এডিজি আইনশৃঙ্খলা পদে ছিলেন এই জ্ঞানবন্ত। কী করে ইডি-র নজরে এই আইপিএস।
কলকাতাঃ কয়লাপাচারকাণ্ডে (Coal Scam Case) আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিংহকে ( IPS Gyanwant Singh) দিল্লিতে ডাক ইডি-র (ED)। উল্লেখ্য, জ্ঞানবন্ত সিংহকে এর আগে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সম্প্রতি কয়লাপাচার মামলায় আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিংহ-সহ মোট ৮ জন আইপিএস-কে দিল্লিতে ডাকা হয় ইডির তরফে।
কয়লাকাণ্ডে কী করে ইডি-র নজরে আইপিএস জ্ঞানবন্ত ?
ইডি সূত্রে খবর, বাংলায় যখন রমরমিয়ে কয়লাপাচার চক্র কাজ চালাচ্ছিল, সেই সময় রাজ্যের এডিজি আইনশৃঙ্খলা পদে ছিলেন এই জ্ঞানবন্ত। তার আগে পশ্চিমাঞ্চলের আইজিও ছিলেন তিনি। পশ্চিমাঞ্চলের বিরাট এলাকা জুড়ে এই কয়লা চুরি রমরমিয়ে চলে বলে জানতে পারেন তদন্তকারী অফিসারেরা। মূলত কয়লাপাচারকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালাকে জেরা করেই জ্ঞানবন্তের নাম উঠে আসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে। সেই কয়লাপাচার মামলার তদন্ত সূত্রেই আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিংহ-সহ মোট ৮ জন আইপিএস-কে দিল্লিতে ডাক ইডি-র।
আরও পড়ুন,পার্থ-র বান্ধবীর ফ্ল্যাটে টাকা উদ্ধার হয়েছে, অনুব্রত-র থেকে সেরকম উদ্ধার হয়নি: সৌগত রায়
রাজ্যে কয়লাকাণ্ডে, শাসকদলের একাধিক হেভিওয়েটের ডাক পড়ে দিল্লিতে। এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ডাকা হয়েছিল তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দিল্লিতে। যদিও দিল্লিতে যাওয়া সম্ভব নয় বলে দেশের শীর্ষ আদলতে মামলা করেছিলেন অভিষেক। এবং সেই মামলায় কলকাতায় ইডি-র দফতরে যেনও এরপরে তলবে ডাকা হয় বলে নির্দেশ দেয় কোর্ট। পাশাপাশি, কয়লাকাণ্ডে রাজ্যের শাসকদলের আরও এক হেভিওয়েটকেও তলব করেছিল ইডি। তিনি রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। সবমিলিয়ে এই মুহূর্তে কয়লাপাচর, গরুপাচার থেকে শুরু করে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় জেরবার শাসকদল তথা বাংলার আইপিএস অফিসার।
প্রসঙ্গত, গত বছরই কয়লাপাচারকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালা ওরফে অনুপ মাজির ৪ সঙ্গীকে গ্রেফতার করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে জানা যায়, আসানসোল-বাঁকুড়া থেকে ওই ৪ জন কয়লা মাফিয়াকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ধৃতরা নারায়ণ নন্দ, জয়দেব মণ্ডল, নীরদ মণ্ডল, গুরুপদ মাজি। সিবিআই সূত্রে দাবি, ধৃত চারজন আসানসোল, রানিগঞ্জ ও বাঁকুড়ায় লালার কারবারের সঙ্গী। কোথা থেকে অবৈধভাবে কয়লা তোলা হবে, কারা সে কাজ করবে, উত্তোলন করা কয়লা, কোথায়, কীভাবে পাঠানো হবে, সবটাই দেখতেন অনুপ মাজির এই চারসঙ্গী। উঠে আসে ১৩৫২ কোটি টাকার কয়লা কারবারের কথাও। তবে যতো দিন যাচ্ছে কয়লাকাণ্ডের তদন্তে আরও বেশি সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।