Kolkata News : গড়িয়াহাটে রক্তারক্তি, রাতেরবেলা ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্য রাস্তায় কোপ
Gariahat Incident : রাস্তায় ফেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। রক্তে ভেসে যায় এলাকা।

হিন্দোল দে, কলকাতা : আতঙ্কের আবহ এবার দক্ষিণ কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে। গড়িয়াহাটে রক্তারক্তি কাণ্ড। ব্যবসায়ীকে রাতের বেলা ডেকে নিয়ে এসে কোপানোর অভিযোগ উঠল। আর সেই অভিযোগের সঙ্গে জড়িয়ে গেল রাজনীতি। অভিযোগ, কলকাতা পুরসভার ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের অনুগামীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।
গড়িয়াহাটে রক্তারক্তি
রবিবার রাতে ঘটে এই হাড়হিম করা ঘটনা। অভিযোগ, রাতে গড়িয়াহাট-বালিগঞ্জ স্টেশন নিকটস্থ কাঁকুলিয়া রোডে ব্যবসায়ী রকি রাজবংশীর সঙ্গে কয়েকজনের বচসা হয়। সাময়িক ভাবে সমস্যাটা মিটে গেলেও ঘটনার রেশ গড়ায় বহুদূর। মাঝরাতে ওই ব্যবসায়ীকে গড়িয়াহাট মোড়ে ডেকে আনে কিছু লোকজন। রাস্তায় ফেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। রক্তে ভেসে যায় এলাকা।
ঠিক কী ঘটে রাতে ?
অভিযোগ, তৃণমূল কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ ৩ ব্যক্তি প্রথমে রকিকে বিজন সেতুর মুখে ডেকে পাঠায়। সেখানে একপ্রস্ত বচসা হয় তাঁদের মধ্যে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই ব্যবসায়ীকে গড়িয়াহাট মোড়ে নিয়ে গিয়ে রাস্তায় ফেলে চপার দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবারের দাবি, যে ৩ জন হামলা চালিয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। গড়িয়াহাট থানায় খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছে আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার।ব্যবসায়ীর দাদা আরও জানান, 'জগদ্ধাত্রী পুজোর ভাসানে আমার পায়ে একটা বাজি ফাটিয়েছিল। এই নিয়ে একটা গন্ডগোল হয়েছিল। এই গন্ডগোলটা আমরা কাউন্সিলরকে পুরো খুলে বলেছিলাম। কাউন্সিলর কোনও স্টেপ নেয়নি।' আক্রান্ত নিজে জানান, 'ওরা কাউন্সিলরের লোক'।
কেমন আছেন ব্যবসায়ী ?
গুরুতর জখম হয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। আহত কেবল ব্যবসায়ী রকি রাজবংশী ন্যাশনাল মেডিক্যালে ভর্তি। তাঁর বাঁ হাতে ও পেটে আঘাত রয়েছে। গড়িয়াহাট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। রবিবার রাতের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
কী বলছেন কাউন্সিলর?
তবে তৃণমূল কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের মতে, এসব মদ খেয়ে দু’দলের বচসা। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। পুলিশ ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কাউন্সিলর সুদর্শনা।
খাস কলকাতায়, গভীর রাতে, গড়িয়াহাটের মতো অভিজাত এলাকায় এমন ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার মানুষ ও ব্যবসায়ীরা। পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার না করায় উদ্বেগ বাড়ছে।






















