Court on Naushad: 'সবাই যুক্ত জানলেন কী করে ?' নৌশাদের মামলায় বিচারপতির প্রশ্নবাণে বিদ্ধ রাজ্য
Justice Attacks WB Govt on Naushad's Case: নৌশাদ সিদ্দিকি মামলায় বিচারপতি দেবাংশু বসাকের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ রাজ্য, রাজ্যকে কী কী প্রশ্ন বিচারপতির ?
কলকাতা: নৌশাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddique) মামলায় বিচারপতি দেবাংশু বসাকের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ রাজ্য (West Bengal Govt)। '৬৫ জন মামলাকারি আছেন, ঘটনায় প্রত্যেকের ভূমিকা প্রমাণ করতে পারবেন তো ?' রাজ্যকে প্রশ্ন বিচারপতির (Justice)। 'সবাই গন্ডগোলের সঙ্গে যুক্ত আছে জানলেন কি করে ?' রাজ্যকে প্রশ্ন বিচারপতি বসাকের।
যে বক্তব্যগুলি পেশ হয়েছে, তার যৌক্তিকতা কোথায় দাঁড়িয়ে ? এরপরেই একের পর এক বিচারপতি বসাকের প্রশ্নের স্ক্যানারের মুখে রাজ্য।'কেউ হয়তো পাশ থেকে হেঁটে যাচ্ছিলেন, গন্ডগোলের সময় পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর এই গন্ডগোল কি ভূমিকা থাকতে পারে?' রাজ্যকে প্রশ্ন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের। 'যদি রাজ্য দেখায় সিদ্দিকির উস্কানিমূলক বক্তব্যে এই ঘটনা ঘটেছে , তাহলে?', মামলাকারির আইনজীবীকে প্রশ্ন বিচারপতির। তাঁর মক্কেল পুলিশকে মারতে বলেছেন এমন কোনও প্রমাণ নেই', জানালেন সিদ্দিকির আইনজীবী।
বিচারপতি মামলাকারীর আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, 'আত্মরক্ষায় পদক্ষেপের কথা আমরা জানি, কিন্তু পুলিশ কর্মীর ওপর আক্রমণ ? সেটাও আত্মরক্ষা?'। লজিক্যাল প্রশ্নের মুখে পড়ে 'আত্মরক্ষা'-র কারণ ব্যাক্ষা করলেন নওশাদ সিদ্দিকীর আইনজীবী। উত্তরে জানালেন তিনি,'এই ধরনের কোন আক্রমণের নির্দেশ দেওয়া হয়নি। একাধিক জায়গায় ISF কর্মীদের আটকেছে তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ করেও পুলিশ কিছু করেনি ।' ল্যাপটপে নওশাদ সিদ্দিকীর ভাষণ শুনলেন বিচারপতি বসাক। এরপরেই বিচারপতির প্রশ্নবাণে ফের বিদ্ধ রাজ্য। বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, 'পুলিশকে মারতে বলা হচ্ছে সেই প্রমাণ কোথায় ?।'
উল্লেখ্য, এই মামলায় এর আগেও নৌশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারি মামলায় হাইকোর্টের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য। 'একটা ঘটনায় ৮৮ জন গ্রেফতার? প্রতিরোধমূলক গ্রেফতারির ক্ষেত্রে এতদিন ধরে ৮৮ জন জেলে ? এই ধরনের ঘটনায় ১-২ জন নেতাকে হেফাজতে নিলে ঠিক আছে, কিন্তু ৮৮ জন? এই ৮৮ জনের ভূমিকা প্রমাণ করার মতো ভিডিও রেকর্ডিং আছে তো?' রাজ্যকে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। যদিও এবার সিসিটিভি ফুটেজ ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। কলকাতা পুরসভার সিসিটিভি ফুটেজও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। জানাল রাজ্য।
আরও পড়ুন, চলছে মাধ্যমিক, স্কুলে গিয়ে ছাত্রীদের শুভেচ্ছা ভরালেন মুখ্যমন্ত্রী
প্রসঙ্গত, ২২ জানুয়ারি, সেদিন ছিল শনিবার। ভাঙড়ে তৃণমূলের সঙ্গে ISF-এর সংঘর্ষের আঁচ এসে পড়েছিল ধর্মতলায়। ISF-এর অবরোধ, পুলিশের লাঠি-কাঁদানে গ্যাসে। অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল শহরের প্রাণকেন্দ্র। সেদিন ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি-সহ ১৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মাঝে কেটে গেছে গোটা একটা সপ্তাহ। নৌশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির প্রতিবাদে একাধিক আন্দোলন-কর্মসূচি করেছে ISF। ঘণ্টায় ঘণ্টায় রাস্তা অবরোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পিরজাদারা। যদিও, আদালতের নির্দেশে এখনও পুলিশ হেফাজতেই রয়েছেন ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি সহ একাধিক কর্মী-সমর্থক। বেছে বেছে ISF কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। তৃণমূল ও পুলিশের যোগসাজশে পঞ্চায়েত ভোটের আগে মনোবল ভাঙার চেষ্টা হচ্ছে। সংঘর্ষের ঘটনায় বিস্ফোরক অভিযোগ করে আইএসএফ। অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল।