Post Poll violence: বিজেপি কর্মী অভিজিৎ খুনের অভিযোগ, সিবিআই-র মুখোমুখি পরেশ পাল
Paresh Pal in CGO Abhijit Murder Case: সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চে আইনজীবীকে নিয়ে হাজিরা বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়কের।
কলকাতা: ভোট-পরবর্তী হিংসায় (Post Poll violence) বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের খুনের (BJP Leader Abhijit Sarkar Murder Case) অভিযোগে দ্বিতীয়বার সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি পরেশ পাল। সিজিও (CGO) কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চে আইনজীবীকে নিয়ে হাজিরা বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়কের।
কলকাতার কাঁকুড়গাছি এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ সরকার ছিলেন বিজেপির কার্যকর্তা। ২০২১ সালের ২ মে বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার দিন অভিজিৎকে খুনের অভিযোগ ওঠে। পরিবার সূত্রে অভিযোগ ওঠে, শ্বাসরোধ করে মাথায় ভারী কিছু আঘাত করে খুন করা হয় তাঁকে। এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল ওঠে। সেসময় বিজেপি অভিযোগ তোলে, অভিজিৎকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। পরবর্তীতে হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় পরবর্তীতে সিবিআই আধিকারিকরা নিহত অভিজিৎ সরকারের বাড়িতে গিয়ে এনিয়ে তদন্তও করেন। অভিযুক্তদের খোঁজ দিতে পারলে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে পুরষ্কৃত করা হবে। পরে এই তদন্তের পরে চার্জশিটও দাখিল হয়।
কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের খুনের অভিযোগের তদন্তে, চলতি বছরে মে মাসের মাঝামাঝি পরেশ পালকে নোটিস পাঠানো হয় সিবিআইয়ের তরফে। সেসময়ও সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক। অন্যদিকে, সিবিআই দফতরে হাজির হন অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার। তিনি বলেন, স্বেচ্ছায় এসেছি, সিবিআই চাইলে পরেশ পালের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। পরেশ পাল ও স্বপন সমাদ্দারের নির্দেশেই ভাইকে খুন করা হয়েছে, দাবি নিহত বিজেপি কর্মীর দাদার। সেদিন বিধায়ক পরেশ পালের সঙ্গে ছিলেন তাঁর তিন অনুগামী ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সুনন্দা গুহ, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর পবিত্র বিশ্বাস ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আশুতোষ দাস।
আরও পড়ুন, প্রদীপ, প্রসন্ন-র পর ইডির নজরে আরও ১
উল্লেখ্য, ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের খুনের মামলায় দ্বিতীয়বার সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি পরেশ পাল। সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চে আইনজীবীকে নিয়ে হাজিরা বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়কের। সিবিআই সূত্রে খবর, বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনের সময় কোথায় ছিলেন, কোন সময় খবর পান, যাদের ছবি ভিডিও-তে আছে, তাদের চেনেন কি না, অভিজিতের পরিবারের তোলা উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে তাঁর কী বক্তব্য, এসবই পরেশ পালের কাছে জানতে চাওয়া হবে।