Sukanta Majumdar: 'সরকার ফেলে দেওয়াতে তাঁরা বিশ্বাসী নন', ‘ডিসেম্বর ডেডলাইন’-র পর মন্তব্য সুকান্ত-র
Sukanta TMC Govt: শুভেন্দুর পর ফের সুকান্তর মুখে সম্প্রতি শোনা গিয়েছিল ‘ডিসেম্বর ডেডলাইন’। তবে আজ 'সুর বদল' বিজেপির রাজ্য সভাপতির। কী বললেন সুকান্ত মজুমদার ?
কলকাতা: শুভেন্দুর পর ফের সুকান্তর মুখে সম্প্রতি শোনা গিয়েছিল ‘ডিসেম্বর ডেডলাইন’। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন, ‘মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) মুখ খুলতে শুরু করলে অনেক উইকেট পড়বে। ডিসেম্বরে ঠান্ডা পড়বে, সরকার কাঁপবে।' তবে আজ 'সুর বদল' বিজেপির রাজ্য সভাপতির।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ অক্টোবর বলেছিলেন ডিসেম্বরের ঠাণ্ডায় সরকার কাঁপবে। আজ বললেন, 'সরকার ফেলে দেওয়াতে তাঁরা বিশ্বাসী নন। সরকার নিজের দোষে কাঁপলে কি করা যাবে! 'মন্তব্য সুকান্ত মজুমদারের। প্রসঙ্গত, পুজোর আগে, রাজ্যের দুর্নীতি ইস্যুতে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে সঙ্গে রেখে সুকান্ত মজুমদার বলেন,'ডিসেম্বরেই সরকার পড়তে পারে। ' মূলত, তাঁর যুক্তি, ইতিমধ্যেই টাকা উদ্ধারকাণ্ডে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী যোগ প্রকাশ্যে এসেছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। রাজ্যের একাধিক দুর্নীতির মামলায় শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়ে জেলে রয়েছেন। জেল থেকে তেমন কেউ ছাড়া পাননি। অধিকাংশই এখনও জেলেই, বলে দাবি সুকান্ত-র। এহেন পরিস্থিতিতেই, 'জেলে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীও ' বিস্ফোরক দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতির। যদি শাসকদলের অধিকাংশ মন্ত্রীই যদি জেলে যান, তাহলে কী করে চলবে সরকার ? প্রশ্ন তুলেই , তিনি বলেন 'সুতরাং, ডিসেম্বরেই পড়তে পারে সরকার।'
আরও পড়ুন, 'বড় দুশ্চিন্তায় আছেন মোদিজী', নাগরিকত্ব ইস্যুতে খোঁচা শান্তনু-সুজনদের
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই মানিক ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি।' যারা টাকা দিয়েছে, তারা স্কুলে শিক্ষক হিসাবে পড়াচ্ছে এবং আমাদের রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত নষ্ট করছে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার ভবিষ্যত নষ্ট করছে। যোগ্য প্রার্থীরা ৫৭৬ দিন ধরে ধর্না দিচ্ছে। এমনকী লক্ষ্মীপুজোর দিন কাঁদছে। আপনি কি মনে করেন, এটা শুধু একটা অপরাধ? ' মানিক ভট্টাচার্যকে হেফাজতে চেয়ে এই মন্তব্য করেন ইডি’র আইনজীবী। এরইসঙ্গে অত্যন্ত বিস্ফোরক দাবি করে তিনি বলেন, ' ইডি মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নথি বাজেয়াপ্ত করেছিল। তাতে দেখা যায় মানিক ভট্টাচার্য একটি চিঠি পেয়েছেন, যে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করেও লেখা হয়েছিল। সেই চিঠি অনুযায়ী, ৪৪ জনকে শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৭ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়।'