Kolkata News: ভরসন্ধেয় বাড়িতে ঢুকে মহিলাকে কুপিয়ে খুন, ছেলের ওপরেও হামলা
Kolkata: পুজোর আগে এমন নৃসংশ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা। হেঁদুয়া পার্ক লাগোয়া শান্তশিষ্ট এলাকায় সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ঘটে যাওয়া এমন ঘটনা হতে পারে তাঁরা ভাবতেই পারেননি।
শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা: খাস কলকাতায় মহিলাকে (Women Killed) বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে খুন। ভরসন্ধেয় রায়বাগান স্ট্রিটে (Raybagan Street) মহিলাকে বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে খুন করার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। ছেলের ওপরেও হামলার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। নিহত মহিলার নাম মিনাক্ষী ভট্টাচার্য।
ভরসন্ধেয় কলকাতায় খুন, আতঙ্কে এলাকাবাসী
বাড়িতে ঢুকে দুষ্কৃতীরা কুপিয়ে খুন করল মহিলাকে। গুরুতর জখম ছেলে। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। যদিও লুঠের কোনও প্রমাণ মেলেনি, তাহলে কেন খুন, খতিয়ে দেখা হচ্ছে, বলে জানালেন ডিসি নর্থ। দুষ্কৃতীর খোঁজে চলছে পুলিশের তল্লাশি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, ১৯৬৫ সাল থেকে ওই মহিলা পাড়ার দুর্গাপুজো কমিটির সঙ্গে জড়িত। তাঁর বাড়িতে সকলে মিলে ৮ জন থাকতেন বলে জানাচ্ছেন বাসিন্দারা। শরিকি কোনও বিবাদ বা পরিবারে কোনও অস্বাভাবিকতা কারও নজরে কিছু পড়েনি। পুজোর আগে এমন নৃসংশ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা। হেঁদুয়া পার্ক লাগোয়া শান্তশিষ্ট এলাকায় সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ঘটে যাওয়া এমন ঘটনা হতে পারে তাঁরা ভাবতেই পারেননি। সামনেই পুজো, এত বড় একটা ঘটনায় হতবাক পাড়ার লোকজন।
অভিযোগ মৃত মিনাক্ষী ভট্টাচার্য, স্বামী ও ছেলের সঙ্গে থাকতেন। যখন এই ঘটনা ঘটে, তাঁর ছেলেও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। এলাকাবাসীদের দাবি, মৃতার ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় বেরিয়ে আসতে দেখেন তাঁরা। কোপানো হয় তাঁকেও, অভিযোগ। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যদিও মিনাক্ষী ভট্টাচার্যের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে। ঘটনাস্থলে তদন্তের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতা পুলিশের স্নিফার ডগ। খুন করার পর দুষ্কৃতীরা কোন পথে বেরিয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, স্নিফার ডগ ঘটনার উল্টোদিকের রাস্তা দেখাচ্ছে। অর্থাৎ খুন করে উল্টোদিকের রাস্তা দিয়ে তারা পালিয়েছে বলে আন্দাজ করা হচ্ছে।
কিন্তু কেন খুন? লুঠের উদ্দেশ্যে খুন? কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে প্রাথমিকভাবে ওই বাড়িতে লুঠের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে কি পারিবারিক বিবাদ? কারণ তাঁর আত্মীয়রাও আশেপাশের বাড়িতেই থাকতেন বলে জানা যাচ্ছে। যদিও পারিবারিক বিবাদের জেরে খুনের তত্ত্ব উড়িয়ে দিচ্ছেন এলাকাবাসীরা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial