Kolkata: পানিহাটিতে কাউন্সিলরের 'দাদাগিরি', সোনারপুরে জমি মালিকের থেকে টাকা চাওয়ার অভিযোগ
Kolkata Extortion News: একই ছবি ধরা পড়েছে সোনারপুরেও। সোনারপুরে তোলাবাজদের 'দাপট'! জমির মালিকের থেকে ৭৫ হাজার টাকা তোলা চাওয়ার অভিযোগ উঠল এখানে।

কলকাতা: পানিহাটিতে (Panihati) কাউন্সিলরের 'দাদাগিরি'! ইমারতি ব্যবসায়ীর দোকানের পাশে স্ল্যাব ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ। পানিহাটির ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শ্রাবন্তী রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ। দোকানের পাশে ড্রেনের ওপর স্ল্যাব ছিল, দাবি ইমারতি ব্যবসায়ীর। তাঁর অভিযোগ, ''সেই স্ল্যাবের ওপর ইমারতি দ্রব্যের জিনিস রাখতাম। না জানিয়ে কাউন্সিলরের লোকজন ভেঙে দিয়েছে।'' অন্যায়ভাবে স্ল্যাব ভেঙে দিয়েছে কাউন্সিলরের লোকেরা, এমনই অভিযোগ জানিয়ে পুরপ্রধানকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন সেই ব্য়বসায়ী। এদিকে, ড্রেনের সমস্যা হচ্ছিল সেই কারণেই ভাঙা হয়েছে, পাল্টা দাবি কাউন্সিলরের। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শ্রাবন্তী রায়, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বলছেন, ''তিন-চার মাস আগে একটা মাস পিটিশন করেছিল, এলাকার বাসিন্দারা, ব্যবসায়ীরা ও ক্লাব। ওনার দোকানের ওই স্ল্য়াপের জন্য নিকাশি ব্যবস্থা আটকে রয়েছে। যা ক্ষতি হয়েছে। তা পৌরসভার তরফে ফের তৈরি করে দেওয়া হবে। ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে আমার কোনও ব্যক্তিগত রোষ নেই। আশা করি কোনও সমস্যা হবে না।" পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে এলাকায়।
একই ছবি ধরা পড়েছে সোনারপুরেও। সোনারপুরে তোলাবাজদের 'দাপট'! জমির মালিকের থেকে ৭৫ হাজার টাকা তোলা চাওয়ার অভিযোগ উঠল এখানে। তোলা না দেওয়ায় মারধর, মালিক শাহজাহান গাজিকে জমিতে কাজ করতে 'বাধা' দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের। নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ জানানোর পরেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। অভিযুক্তরা বুক ফুলিয়ে এলাকায় ঘুরছে, অভিযোগ জমি মালিকের। গত জুলাই মাসে সোনারপুরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি জমি কিনি, দাবি অভিযোগকারীর। তারপরই জমির মালিকের থেকে ৭৫ হাজার টাকা তোলা চাওয়ার অভিযোগ।
জমির মালিক শাহজাহান গাজির স্ত্রী বলছেন, ''পুলিশ আমাদের নিয়ে গিয়েও আমাদের ঘরে ঢুকিয়ে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা ছিল। পুলিশও বলছে যে কেসটা তুলে নিতে হবে। আমি অন্য়ায় করিনি, কেন কেসটা তুলব? আমাকে ও আমার পরিবারকে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বাড়িতে ঢুকলেই মারধর করবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ আমাদের কথা শুনছে না, ওঁরা যা বলছে সেটাই শুনছে। যখন তখন দলবল নিয়ে হামলা করতে আসছে।''
পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে না পারলেও অভিযোগকারীর তরফে জানানো হচ্ছে যে যারা হুমকি দিচ্ছে তাঁরা সবাই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত।






















