Kolkata : ৬ ঘণ্টা অপারেশনের পর গুলি বের হল গোর্কি সদনের সামনে আক্রান্ত ব্যবসায়ীর
সিএমআরআই হাসপাতালে ভর্তি ওই ব্যবসায়ীর শরীর থেকে গতকাল ৬ ঘণ্টা অপারেশনের পর গুলি বের করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
কলকাতা : শেক্সপিয়র সরণী থানার এক কিলোমিটারের মধ্যে গোর্কি সদনের সামনে শ্যুটআউট। গুলিবিদ্ধ হাওড়ার ব্যবসায়ী পঙ্কজ সিংহ। এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, গুলি চালানো হয়েছে দেশি পিস্তল থেকে। ইতিমধ্যে সিএমআরআই হাসপাতালে ভর্তি ওই ব্যবসায়ীর শরীর থেকে গতকাল ৬ ঘণ্টা অপারেশনের পর গুলি বের করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
রাতের শহরে শ্যুটআউট। গোর্কি সদনের সামনে গুলিবিদ্ধ হাওড়ার ব্যবসায়ী পঙ্কজ সিং। সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা যায়, আশপাশ তখনও জমজমাট। রাস্তাঘাটে লোকজন। দোকান খোলা। কিন্তু, সূত্রের খবর, কারোর কোনও তোয়াক্কা না করে, ডোন্ট কেয়ার ভঙ্গীতে, হঠাৎই আগ্নেয়াস্ত্র বের করে ব্যবসায়ীকে গুলি করে এক বাইক আরোহী। তাঁর ডান কাঁধে গুলি লাগে। সেই অবস্থাতেই কোনওরকমে গাড়িতে উঠেন জখম ব্যবসায়ী। বাঁ দিকে ঘোরার সময়, পাশ দিয়ে যাওয়া একটি বাইকে সজোরে ধাক্কা মারে ব্যবসায়ীর গাড়ি।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাত ১১টা নাগাদ বন্ধুর বাড়ির পার্টি থেকে ৩ সঙ্গীকে নিয়ে ফিরছিলেন ওই ব্যবসায়ী। অভিযোগ, পার্ক সার্কাসের দিক থেকে রবীন্দ্র সদনের দিকে যাওয়ার সময়, ৫-৬টি মোটরবাইকে প্রায় ১৫-১৬ জন দুষ্কৃতী ব্যবসায়ীর গাড়ি আটকায়। গোর্কি সদনের সামনে গাড়ি থেকে নামতেই ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে চম্পট দেয় তারা। ব্যবসায়ীর ডান কাঁধে গুলি লাগে। তাঁকে একবালপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ। পাশাপাশি গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখা। ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে হামলা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।
সালকিয়ার বাঁধাঘাটের বাসিন্দা ব্যবসায়ী পঙ্কজ সিংহের পরিবার। গার্মেন্টস, এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ও প্রোমোটিংয়ের পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে। শ্যুটআউটের ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত ব্যবসায়ীর পরিবার।
এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আঙুল তোলেন রাজ্য সরকারের দিকেই। তিনি বলেন 'সমাজবিরোধীরা তৃণমূলের আশ্রয়ে, তাই এত বাড়বাড়ন্ত। তোলাবাজি, জমি দখল, দাদাগিরি করছে, পুকুর বোজাচ্ছে। কিন্তু গ্রেফতার হচ্ছে না। '