Honey Trap Arrest : হানি ট্র্যাপের ফাঁদে পাক চরকে সেনা ছাউনি ছবি-তথ্য পাচার, গ্রেফতার অভিযুক্ত
Police : পুলিশ সূত্রে দাবি, জানা যায়, ওই মহিলা পাকিস্তান ইনটেলিজেন্স অপারেটিভ বা PIO-তে কর্মরত। যুবকের পাঠানো গোপন তথ্য তিনি সেখানে সরবরাহ করতেন।
পার্থপ্রতিম ঘোষ ও ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : হানি ট্র্যাপে (Honey Trap) পড়ে সন্দেহভাজন পাক চরকে ভারতীয় সেনা ছাউনির ছবি তোলা ও তথ্য পাচার। এই অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ (Kolkata Police STF)। মধ্য কলকাতার রিপন স্ট্রিট থেকে অভিযুক্ত যুবক ভক্তবংশী ঝাকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ।
পুলিশের (Police) দাবি, বিহারের দ্বারভাঙার বাসিন্দা এই যুবকের সঙ্গে সন্দেহভাজন পাক চরদের যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। ঘটনার সূত্রপাত বেশ কিছুদিন আগে। পুলিশ সূত্রে খবর, ফেসবুকে (Facebook) এক যুবতীর সঙ্গে আলাপ হয় দ্বারভাঙার বাসিন্দা ভক্তবংশী ঝা-র। নিজেকে পাঞ্জাবের অমৃতসরের বাসিন্দা হিসেবে পরিচয় দেন ওই যুবতী। কিছুদিনের মধ্যেই দু'জনের মধ্যে প্রেমালাপ শুরু হয়।
পুলিশের দাবি, জেরায় ওই যুবক জানিয়েছেন, বোন দেশের প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংবাদদাতা, তাই তার কিছু তথ্য লাগবে বলে, সাহায্য করতে বলেন ওই যুবতী। ধৃত ভক্তবংশীকে কখনও দিল্লি, কখনও কলকাতায় (Kolkata) গিয়ে সেনা ছাউনির ছবি তুলে আনতে বলেন। কুরিয়্যর সংস্থায় কর্মরত ওই যুবক মাসতিনেক আগে কলকাতায় আসেন।
পুলিশ সূত্রে দাবি, জানা যায়, ওই মহিলা পাকিস্তান ইনটেলিজেন্স অপারেটিভ বা PIO-তে কর্মরত। যুবকের পাঠানো গোপন তথ্য তিনি সেখানে সরবরাহ করতেন। ধৃত ভক্তবংশীর মোবাইল ফোনে ফোটোগ্রাফ, ভিডিও সহ নানা তথ্য দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। এরপরই গ্রেফতার (Arrested) করা হয়, বিহারের বাসিন্দা ভক্তবংশীকে।
পুলিশের দাবি, এছাড়াও পাক চররা যাতে সহজে ভারতীয় সিমকার্ড পায়, সেটিও দেখত ওই যুবক। এই চক্রে আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- মুম্বইতে দোস্তি, আর ধূপগুড়িতে দোস্তি, তৃণমূল বিরোধী প্রচারমঞ্চে একসঙ্গে অধীর-সেলিম
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন