Primary School Renovation: প্রাথমিক স্কুলের মেকওভার, জাঁকজমকে উদ্বোধন নবরূপে নির্মিত স্কুলের
বসেছে নতুন কম্পিউটার। ক্লাসঘরের দেওয়ালজুড়ে রঙিন ছবি। ঝাঁ চকচকে শৌচাগার। ঠিক যেন, নামী বেসরকারি স্কুলের প্রাথমিক সেকশন।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: যেখানে শহরের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক স্কুল বন্ধ হওয়ার মুখে, সেখানে স্রেফ পরিবেশ বদলে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে ‘সুভাষপল্লি নেতাজি উদ্বাস্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়’। শুক্রবার উদ্বোধন হল নবরূপে নির্মিত স্কুলটির।
বসেছে নতুন কম্পিউটার। ক্লাসঘরের দেওয়ালজুড়ে রঙিন ছবি। ঝাঁ চকচকে শৌচাগার। ঠিক যেন, নামী বেসরকারি স্কুলের প্রাথমিক সেকশন। যেখানে কলকাতা শহরে একাধিক প্রাথমিক স্কুল বন্ধ হওয়ার মুখে। হাজার হাজার স্কুলে পড়ুয়া সংখ্যা ৩০-এর নীচে, তখন স্রেফ পরিবেশ বদলে হারানো গৌরব ফেরাতে চাইছে এই স্কুল।
পুরনো ভগ্নদশা কাটিয়ে নতুন ভারে সংস্কার করা হয়েছে টালিগঞ্জ বিধানসভা এলাকার ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের ‘সুভাষপল্লি নেতাজি উদ্বাস্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়’এর। শুক্রবার স্কুলটির উদ্বোধন করেন স্থানীয় বিধায়ক ও মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
কলকাতা জেলা প্রাথমি শিক্ষা সংসদ সূত্রে খবর, এই স্কুলের ছাত্র সংখ্যা ৫৬। নতুন করে সাজানোর পর এবং ইংলিশ মিডিয়াম হবে শুনে আরও পড়ুয়া ভর্তি হতে চাইছে এই স্কুলে। তাহলে কি প্রাথমিকে ইংরেজি না থাকা বা পরিকাঠামোর অভাবই সরকারি স্কুল বিমুখ করছে পড়ুয়াদের? প্রশ্ন উঠেছে।
কিছুদিন আগে তীব্র গরমের জেরে স্কুলে জলের ঘাটতির খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। স্কুলের ২টি টিউবওয়েলের ১টি খারাপ, আরেকটির জল ব্যবহারের অযোগ্য। অভিযোগ, বিডিও অফিসে জানিয়েও সুরাহা হয়নি। প্রচণ্ড গরমে তীব্র জলকষ্টে কোচবিহারের তুফানগঞ্জের নয়নেশ্বরী স্পেশাল ক্যাডার প্রাইমারি স্কুল। বিষষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও।
মিড ডে মিল খাওয়ার সময় হোক বা অন্য সময়। কাঠফাটা এই গরমে ইচ্ছে মতো গলা ভেজানোরও উপায় নেই! বোতলের জল শেষ হয়ে গেলে কী হবে! আবার, পাশের বাড়িতে গিয়ে চাইতে হবে পানীয় জল! যেমন ভাবে চেয়ে আনা জল দিয়ে রান্না হয় মিড ডে মিল। তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে বাংলা। জেলায় জেলায় দেখা দিয়েছে তীব্র জলকষ্ট! এরই মধ্যে এই ছবি কোচবিহারের তুফানগঞ্জের নয়নেশ্বরী স্পেশাল ক্যাডার প্রাইমারি স্কুলে।
স্কুলে ২টি টিউবওয়েল রয়েছে। তার ১টি খারাপ এবং অপরটির জল ব্যবহারের অযোগ্য। তাই বাড়ি থেকে আনা বোতলের জল শেষ হয়ে গেলে পাশের বাড়ি থেকে বোতল ভরে আনে পড়ুয়ারা। শুধু তাই নয়, রান্নার জন্যও জল চেয়ে আনতে হয় পাশের বাড়ি থেকে।
স্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যা ৫০। কর্তৃপক্ষের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই জল কষ্টে ভুগছে স্কুল। গরম পড়তে আরও তীব্র হয়েছে জল কষ্ট। অভিযোগ, জল সংকটের কথা বিডিও অফিসে জানিয়েও সুরাহা হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তুফানগঞ্জ ১-এর বিডিও দেবঋষি বন্দ্য়োপাধ্যায়।