Krishnanagar Incident: কৃষ্ণনগরে মৃতার বাড়িতে শুভেন্দু, 'খুনই হয়েছে তরুণী, ধামাচাপা দিতে চাইছে পুলিশ' !
Suvendu On Krishnanagar Incident: কৃষ্ণনগরে মণ্ডপের সামনে তরুণীর মৃত্যুর কারণ ঘিরে এখনও ধোঁয়াশা। মৃতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এর পর কী প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর ?
নদিয়া: কৃষ্ণনগরে মণ্ডপের সামনে তরুণীর মৃত্যুর কারণ ঘিরে এখনও ধোঁয়াশা। মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে আইনি সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিলেন শুভেন্দু অধিকারীর। 'খুনই করা হয়েছে তরুণীকে, ধামাচাপা দিতে চাইছে পুলিশ', ধামাচাপা দিতেই আত্মহত্যার তত্ত্ব খাড়া করা হচ্ছে, দাবি বিরোধী দলনেতার।
কৃষ্ণনগরের ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় এবার কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তের দাবি তুললেন শুভেনদু অধিকারী। আজ নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। অন্যদিকে, এদিন ঘটনাস্থলে যান মূল ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন,'পরিবার নিরপেক্ষ তদন্ত, কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত দাবি করেছে। পরিবারের পাশে সম্পূর্ণভাবে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি আছে।'
পুড়িয়ে খুন? নাকি আত্মঘাতী? নদিয়ার কৃষ্ণনগরে ক্লাস টুয়েলভের ছাত্রীর রহসমৃত্যু নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা অব্যাহত। আর এর মধ্যেই শনিবার নিহত তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তের দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তরুণীর রহস্যমৃত্যুতে এখনও বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। ঘটনার দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে নিহত ছাত্রীর সঙ্গে দেখা হয়েছিল ধৃতর? পুলিশ সূত্রে দাবি,মঙ্গলবার রাত ৯টা ৫০ থেকে ১১টা পর্যন্ত ধৃতের ফোনের টাওয়ার লোকেশন ঘটনাস্থল থেকে ৫০০ মিটার দূরে কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজ লাগোয়া এলাকায় মিলেছে।
অন্যদিকে, নিহত ছাত্রীর মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল সাতটা অর্থাৎ তাঁর দেহ উদ্ধার পর্যন্ত মিলেছে পুজো মণ্ডপ চত্বরে। অর্থাৎ মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন অনুযায়ী, তাঁদের দুজনের একসঙ্গে দেখা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু মোবাইল ফোন কোনও জায়গায় রেখে দিয়ে কি ধৃত নিহত ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন? সেই সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিনই ঘটনাস্থলে যান মূল ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।
আরও পড়ুন, সিঙ্গুরে শুভেন্দুর সভাস্থলের শুদ্ধিকরণ TMC-র, 'মমতার মঞ্চে টাটার বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন..'
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'আমরা যেটুকু দেখেছি শুনেছি এবং সবাই বুঝি ওটা কমপ্লিটলি মার্ডার। শারীরিক নির্যাতন করে মার্ডার করা হয়েছে। এই সরল, সহজ, সাদাসিধে, সাধারণ পরিবারকে পুলিশ কার্যত ভুল বুঝিয়ে দেহ নিয়ে গেছে এবং দাহ করিয়ে দিয়েছে।আর পোস্টমর্টেম রিপোর্টে সুইসাইড লিখে দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে বিচার এবং তদন্তকে প্রভাবিত করা হয়েছে। পরিবার নিরপেক্ষ তদন্ত, কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত দাবি করেছে। পরিবারের পাশে সম্পূর্ণভাবে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি আছে।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।