তোলাবাজি, এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে দুই দলের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র লিলুয়া
ঘটনায় ইতিমধ্যেই ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
সুনীত হালদার, লিলুয়া: তোলাবাজি, এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে দুই দলের সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল। ঘটনাটি ঘটেছে লিলুয়ার ভট্টনগর ঘুঘু পাড়ায়। গতকাল রাত এগারোটা নাগাদ একই পাড়ার ২টি দলের মধ্যে সংঘর্ষের বাধে। আহত হন দু-জন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় লিলুয়া থানার পুলিশ। এর পর সংঘর্ষের মুখে পড়ে পুলিশও। তাঁদের গাড়িতে হামলার চালানো হয় বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় দু-জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের আজ হাওড়া আদালতে তোলা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকার কুখ্যাত তোলাবাজ চঞ্চল দাস গতকাল রাত এগারোটা নাগাদ দলবল নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ দেব রায়ের বাড়িতে হামলা চালায়। চলতে থাকে পাথর বৃষ্টি। ভেঙে দেওয়া হয় ওই বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরাও। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা দুটি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও খবর।
এর পর চঞ্চল দাস নামে ওই ব্যক্তির দলের লোকেরা লাঠি, রড এবং সাইকেলের চেইন দিয়ে ইন্দ্রজিৎ দেব রায়কে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর জখম হন ব্যক্তি। তাঁর মাথা ফেটে যায়। তাঁকে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাল্টা ইন্দ্রজিতের ছেলেরাও চঞ্চলের ছেলেদের বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে লিলুয়া থানার পুলিশ পৌঁছলে দুষ্কৃতীরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে বলে জানা গিয়েছে। পরে বিরাট পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ এই ঘটনায় সমর মালিক এবং পূর্ণচন্দ্র বাহাদুর নামে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের আজ হাওড়া আদালতে তোলা হয়। ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। ফের কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে এলাকায়।
একই দিনে তোলাবাজিকে কেন্দ্র করে শুটআউটে ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল হাসনাবাদের কোন্নগর। পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকারই বাসিন্দা আমির আলী গাজী নামের বছর ৫৩-র এক ব্যক্তিক। গতকাল দুপুরে দু-জন অজ্ঞাত পরিচয়ের দুষ্কৃতী এসে তাঁকে গুলি করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান দুষ্কৃতীদের গন্ডগোলের জেরেই গুলি চালানো হয়। আহতকে গুরুতর জখম অবস্থায় আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনায় গতকাল রাতেই বরুনহাট এলাকা থেকে একজনকে গ্রেফতার করেছে হাসনাবাদ থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ভেরিতে টাকার নিয়ে বচসা, তোলাবাজি ও অস্ত্র পাচার নিয়ে বিরোধের জেরেই বচসা চরমে পৌঁছয়। এরপরই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান।