Lionel Messi : অবিলম্বে দর্শকদের টাকা ফেরানোর দাবি, যুবভারতী কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা শুভেন্দুর
Lionel Messi Suvendu ON HC: 'মমতার কমিটির উপর কারও আস্থা নেই..', যুবভারতী কাণ্ডে কী প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর ?

কলকাতা: যুবভারতীতে মেসির অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলার জল গড়াল হাইকোর্টে । কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। শুভেন্দু বলেন, আমরা যা চেয়েছি, কোর্টে চেয়েছি। এবং অবিলম্বে অর্থ ফেরৎ সহ, যে কমিটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বানিয়েছেন, ওই কমিটির উপর কারও আস্থা নেই। এবং উল্টোদিকে, যুবকদের ইমোশনকে ভেঙেছে। ...বাকিটা কোর্টের বিচারাধিন। .. কোর্ট বিষয়টার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে। এবং আমরা , মানুষ যা চাইছে সেটা কোর্টের হস্তক্ষেপে হবে।
আরও পড়ুন, যুবভারতীর বাইরে দমকলমন্ত্রীর টিকিট বিলির ভিডিও ভাইরাল !
কলকাতা হাইকোর্টে মোট ৩টি মামলার আর্জি কলকাতা হাইকোর্টে। শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে মামলার আর্জি আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচাৰ্যের। মামলা দায়ের করতে চেয়ে আর্জি আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্য়ায়েরও।সিবিআই-ইডির তদন্ত চেয়ে মামলার আর্জি আইনজীবী মৈনাক ঘোষালেরও। টিকিটের মূল্য ফেরত-সহ একাধিক আবেদন মৈনাক ঘোষালের। মামলা দায়েরের অনুমতি ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পালের। চলতি সপ্তাহে মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম কুমার রায়কে দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির বৈধতারও কিন্তু এই দুটি মামলায় চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। সেখানে একেবারে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, এইভাবে একেবারে তাড়াহুড়ো করে, কমিটি ঘটন করা হয়েছে, সেই কমিটির কার্যত কোনও বৈধতা নেই। এবং এই কমিটির ভূমিকা নিয়েও, তাঁরা কিন্তু সন্দিহান। সবমিলিয়ে তারা চাইছেন, কলকাতা হাইকোর্ট এই গোটা বিষয়টার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করুক।
প্রসঙ্গত, অতীতে ১৯৮৮ সালে এই যুবভারতী স্টেডিয়ামেই ভাঙা হয়েছিল বাকেট চেয়ার। এরপর যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন থেকে বাকেট চেয়ার খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী। আবার ২০১৭ অনুর্ধ্ব বিশ্বকাপের সময় ঢেলে সাজানো হয় সল্টলেক স্টেডিয়ামকে। তখন ফের গোটা স্টেডিয়ামে বসানো হয় বাকেট চেয়ার। আর এই চেয়ারই শনিবার ভাঙচুর করে উন্মত্ত দর্শক।
প্রাক্তন ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, এসবের পর প্রশ্ন উঠছে, স্টেডিয়াম মেরামত করার এই বিপুল পরিমাণ খরচ কে বহন করবে? রাজ্য সরকার নাকি উদ্যোক্তারা? এরই মধ্যে আবার সোশাল মিডিয়ায় ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেছেন কুণাল ঘোষ, তিনি লিখেছেন, যুবভারতী মেরামতির টাকা সরকারি কোষাগার থেকে যাবে কেন? যারা মাঠের মধ্যে মেসির সঙ্গে ছবি তুলছিল, নিজেদের ছবি তোলাচ্ছিল, সব ফুটেজ থেকে তাদের লিস্ট হোক। তারা কে, কোন অধিকারে ওখানে ছিল, প্রকাশ্যে আসুক। ওদের জন্য দর্শকরা বঞ্চিত। ওরাই দর্শকদের দেখতে দেয়নি। মূল আয়োজক এবং ওদের কাছ থেকে স্টেডিয়ামের ক্ষতিপূরণের টাকা তোলা হোক। একটা প্রভাবশালীও যেন ছাড় না পায়। সঙ্গে ভাঙচুরে যে কিছু গুন্ডা দেখা যাচ্ছে, তাদের থেকেও জরিমানা নেওয়া হোক।






















