Paschim Medinipur: 'বিশ্বকর্মা বাংলা ছেড়ে পালিয়েছেন', খড়্গপুরে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের
Dilip Ghosh Mocks: 'বিশ্বকর্মা বাংলা ছেড়ে পালিয়েছেন', পুজোর দিন কটাক্ষ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের। সঙ্গে সংযোজন, ' এবারের বিশ্বকর্মা পুজো সবচেয়ে বেশি হতাশাজনক।'
বিশ্বজিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: 'বিশ্বকর্মা ( Vishwa Karma) বাংলা (west bengal) ছেড়ে পালিয়েছেন', পুজোর দিন কটাক্ষ (mocks) বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। সঙ্গে সংযোজন, ' এবারের বিশ্বকর্মা পুজো সবচেয়ে বেশি হতাশাজনক (disapppointing)। শিল্প (industry) নেই। এত দিন বিশ্বকর্মা পুজোয় সিন্ডিকেটের (syndicate) কাট মানি (cut money) আসত। এবার তা-ও নেই। তাই বিশ্বকর্মা পুজোর জৌলুস চলে গিয়েছে।'
কী দাবি বিজেপির?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনও ছিল এদিনই। সেই উপলক্ষ্যে আজ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর স্টেশনের বগদা এলাকায় 'স্বচ্ছ ভারত অভিযান' করা হয়। বগদা এলাকার রাস্তায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে ঝাড়ু দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেই মুহূর্তেই তাঁর সংযোজন, 'যদি শিল্প না হয়, চাকরি না হয়, তা হলে বিশ্বকর্মা পুজো করবে কে? তাই বিশ্বকর্মা বাংলা ছেড়ে পালিয়েছেন। এই জন্য পুজো করে কোনও লাভ নেই। বিশ্বকর্মার আরাধনা কাজের মাধ্যমে হোক। সাধারণ মানুষ যখন আরাধনা করবেন, আনন্দ থাকবেন, তখনই বিশ্বকর্মা আসবেন। পুজো হবে। আজ আমরা নরেন্দ্র মোদির জন্ম দিবস পালন করছি সেবা দিবস হিসেবে।'
আক্রমণ নতুন নয়...
কাট মানি, তোলাবাজি, দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের শাসকদলকে নিয়মিত বিঁধে আসছে বিজেপি। গত জুনে দুদিনের বঙ্গ সফরে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাও রাজ্য সরকারকে তুমুল আক্রমণ করেন। বলেন, 'তৃণমূল মানে শুধু খাও খাও। 'এতেই থামেননি তিনি। নাড্ডার অভিযোগ ছিল, 'তৃণমূলে নেতা আছে, নীতি নেই। তৃণমূল মানেই সিন্ডিকেট। তৃণমূলের মিশন হল কমিশন।...বাংলায় তৃণমূল পিসি-ভাইপোর দলে পরিণত হয়েছে।' তার আগের মাসে শিলিগুড়িতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সরাসরি অভিযোগ করেছিলেন, তৃতীয় বার ক্ষমতায় ফিরেও দুর্নীতি বন্ধ করেনি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার। বস্তুত একুশের বিধানসভা নির্বাচন থেকে উপনির্বাচন হয়ে পুরভোট, সবের প্রচারেই বিরোধীদের মুখে বার বার শোনা গিয়েছে এই এক অভিযোগ। হালে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি, গরু পাচার কাণ্ডে দলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর সেই সমালোচনার সুর আরও তীব্র হয়েছে। অভিযোগ মানেনি তৃণমূল। বরং গরু ও কয়লা পাচারের টাকা যে খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছেও গিয়েছে, তা নিয়ে পাল্টা অভিযোগ উঠেছে।
তবে তরজা থামেনি।
আরও পড়ুন:ক্লাস চলাকালীন স্কুলের ছাদে বিস্ফোরণ, চাঞ্চল্য টিটাগড়ে, আতঙ্কিত পড়ুয়া, এলাকাবাসী