MAKAUT Wedding Controversy: 'একটা পার্ট নিয়ে সেটা ভাইরাল করে দিল,' এবিপি আনন্দে মুখ খুললেন ম্যাকাউটের অধ্যাপিকা
Nadia News: হরিণঘাটার প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমেই 'বিয়ে'। অধ্যাপিকার দাবি, প্রজেক্টের অংশ হিসেবে বিয়ের আসর।
![MAKAUT Wedding Controversy: 'একটা পার্ট নিয়ে সেটা ভাইরাল করে দিল,' এবিপি আনন্দে মুখ খুললেন ম্যাকাউটের অধ্যাপিকা MAKAUT Wedding Controversy Professor Payel Banerjee's Reaction Regarding this incident MAKAUT Wedding Controversy: 'একটা পার্ট নিয়ে সেটা ভাইরাল করে দিল,' এবিপি আনন্দে মুখ খুললেন ম্যাকাউটের অধ্যাপিকা](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2025/01/29/f5962213a81778395bcafe8e6f6b045d173815736342151_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমের মধ্যেই বিয়ের আসর। বিভাগীয় প্রধানকে সিঁদুর পড়ালেন প্রথম বর্ষের ছাত্র। ছবি ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিতর্কের মুখে সেই পাত্রী প্রধানকে ছুটিতে পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রোজেক্টের অংশ হিসেবে বিয়ের আসর, এমনই দাবি করেছেন ওই অধ্যাপিকা। আর এবার এবিপি আনন্দে মুখ খুললেন অধ্যাপিকা পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়। আইনি সাহায্য নিয়েছি, জানালেন অধ্যাপিকা।
বিভাগীয় প্রধানকে প্রথম বর্ষের ছাত্রের সিঁদুর পরানো ঘিরে শোরগোল। হয়েছে মালাবদল, সাতপাকে ঘোরা থেকে শুরু করে শুভদৃষ্টিও। নদিয়ার হরিণঘাটার মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির ছবি, ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সামনে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাডের ছবি। যেখানে একে অপরকে স্বামী স্ত্রী হিসেবে গ্রহণের অঙ্গীকার করেছেন বিভাগীয় প্রধান ও প্রথম বর্ষের ছাত্র। সাক্ষী হিসেবে তিনজনের সইও রয়েছে তাতে। এই ভাইরাল ভিডিও সামনে আসতেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে।সূত্রের খবর, বিতর্কের মুখে ওই অধ্যাপিকা জানিয়েছেন ক্লাসরুমে বিয়ের ঘটনা আদৌ সত্যি নয়। পুরোটাই একটি প্রজেক্টের অংশ। ক্লাসরুমে অধ্যাপিকা ও ছাত্রের মালাবদলের ছবি-ভিডিও সামনে আসতেই পদক্ষেপ নিয়েছে ম্যাকাউট কর্তৃপক্ষ। আপাতত ছুটিতে পাঠানো হয়েছে ওই অধ্যাপিকাকে। শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্ত।
আর এবার এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজির অধ্যাপিকা পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান ফ্রেশার্স অনুষ্ঠানের একটি অংশে বিয়ের বিষয়টি ছিল। তিনি বলেন, "কোনও ড্রামার একটা ক্লিপিং এভাবে ভাইরাল হতে পারে এটা আমার চিন্তার বাইরে। টিচার্স ডে, ফ্রেশার্স ডে এসব অনুষ্ঠানে তো নাচ, গান, নাটক হয়। কিন্তু নাচ, গান বাজে নাটকের একটা নির্দিষ্ট অংশ ভাইরাল হয়েছে। এটা আমরা ফ্রেশার্স পার্টি প্ল্যান করেছিলাম। যেখানে নাচ, গান, ড্রামা সবই হচ্ছে। সেই হিসেবেই ড্রামাটা হয়েছিল, যেখানে ছাত্র এবং শিক্ষক অংশগ্রহণ করতে পারে। কিন্তু একটা পার্ট নিয়ে সেটা ভাইরাল করে দিল। এটা আমার জন্য আশ্চর্যজনক বিষয়। আমার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। আমি আইনি পথে হাঁটছি এবং অভিযোগও জানিয়েছি। আমি কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞ যে তদন্ত কমিটি করেছে। যাঁরা তদন্ত করে সত্যিটা সামনে নিয়ে আসবে।''
মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি- এর অন্তবর্তী উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, "অধ্যাপিকার দাবি, এটা 'সাইকো ড্রামা'- র একটা অংশ। সকলের সামনে ক্লাসরুমের মধ্যেই সবটা করা হয়েছে ডেমনস্ট্রেশন হিসেবে। শিক্ষিকাই অনুমতি দিয়েছেন ভিডিও রেকর্ডিংয়ের। যাতে একটা রেকর্ড। যেহেতু পুরো বিষয়টা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে গিয়েছে, তাই অধ্যাপিকাকে কয়েকদিনের জন্য ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। তদন্তকারী কমিটির মহিলা সদস্য এবং বাকিরা আশ্বাস দিয়েছেন যে গোটা ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেবেন।''
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)