Malda News: সকাল সকাল বোমাবাজি, মানিকচকে নিহত কংগ্রেস নেতা, কাঠগড়ায় তৃণমূল
Manikchak News: ঘটনাস্থলে রয়েছে মানিকচক থানার পুলিশ।
করুণাময় সিংহ, মানিকচক: সাতসকালে মালদার মানিকচকে বোমাবাজি, খুন কংগ্রেস নেতা। নিহতের নাম মহম্মদ সইফুদ্দিন। আজ সকালে মানিকচকের ধরমপুর বাজার এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি হয়। এরপর বাজার থেকে উদ্ধার হয় কংগ্রেস নেতা মহম্মদ সইফুদ্দিনের দেহ। বোমার আঘাতেই মৃত্যু বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। হামলা চালিয়েছে তৃণমূল, দাবি নিহতর পরিবারের। ঘটনাস্থলে রয়েছে মানিকচক থানার পুলিশ। (Malda News)
মালদার মানিকচকের ধরমপুর বাজারে সাতসকালে বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের অভিযোগ, সইফুদ্দিনকে লক্ষ্য করেই বোমাবাজি হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ওই এলাকা আগেও খবরে উঠে এসেছে। সেখানে আগে একাধিক বার সংঘর্ষ বেঁধেছে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে। এবারও দুই দলের মধ্যে সংঘাতের খবর উঠে আসছে। (Manikchak News)
পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ওই এলাকা। সেবার তৃণমূলের এক কর্মী খুন হন। সেই সময় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। এবার অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। নিহতের পরিবারের দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছে সইফুদ্দিনকে। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মানিকচক থানার পুলিশ।
কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্ব জানিয়েছেন, পিঠ লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি নাসির এবং তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। বলা হচ্ছে, নাসির সন্ত্রাস চালায় এলাকা। এর আগেও খুনের ঘটনা ঘটে। নিহত সইফুদ্দিন এলাকার প্রাক্তন প্রধান। কংগ্রেসে সক্রিয় ছিলেন তিনি। পরিকল্পনা করে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলছে কংগ্রেস নেতৃত্ব।
ঠিক কী কারণে হামলা হল, এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সকাল সকাল বাজারে এসেছিলেন সইফুদ্দিনষ সেই সময়ই পিছন দিক থেকে দু'টি বোমা ছোড়া হয় তাঁকে লক্ষ্য করে। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন সইফুদ্দিন। তবে তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সিপিএম যদিও জোড়াফুল শিবিরকে নিশানা করেছে। এলাকায় তৃণমূলের দৌরাত্ম্যের নেপথ্যে পুলিশি মদতের অভিযোগ তুলেছে তারা।
এদিন ঘটনার পর উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বাজারের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ পড়েছিল সইফুদ্দিনের দেহ। খবর পেয়ে এসে পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী। সাতসকালে এমন ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।