Mothabari News : অশান্ত মোথাবাড়ির পরিস্থিতি কী? কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন? বড় পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
রাজ্য সরকারকে ফেসবুক লাইভ এবং ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখতে বলল হাইকোর্ট।

করুণাময় সিংহ, অরিত্রিক ভট্টাচার্য , প্রবীর চক্রবর্তী, কলকাতা : গত সোমবার থেকে অশান্ত মালদার মোথাবাড়ি। বৃহস্পতিবার অশান্তি চরমে ওঠে। দোকান এবং গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পাল্টা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়। ছটি মামলা রুজু করে পুলিশ। ঘটনার জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। এই পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চে ছিল শুনানি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারকে বিশেষ নির্দেশ দিল কোর্ট। সেই সঙ্গে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিল আদালত।
কী বলেছে আদালত ?
শুক্রবার বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার পর্যবেক্ষণে জানায়, ঘটনাটি স্পর্শকাতর, রাজ্য সরকারের দায়িত্ব নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। বিচারপতিরা এও বলেন যে, এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। আমরা সবাই চাই শান্তি। রাজ্য সরকার সেটা দিতে ব্যর্থ হলে দেখা যাবে। এখনও পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সে বিষয়ে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে ফেসবুক লাইভ এবং ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখতে বলা হয়।
কী পদক্ষেপ রাজ্যের ?
এদিন আদালতে রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়, ' বৃহস্পতিবার দুটো দোকান ভাঙা হয়েছে। পাঁচ জন DSP, সাত জন ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে, ঘটনাস্থলে ৩০০ পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা দুই ধরনের ভিডিও পেয়েছি। কিছু ভিডিও ঠিক, আর কিছু ভুয়ো। ' এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, রাজ্য সরকারকে ফেসবুক লাইভ এবং ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখতে হবে।
মোথাবাড়িতে কী পরিস্থিতি ?
গত সোমবার মালদার মোথাবাড়িতে দুই গোষ্ঠীর গন্ডগোল বাধে। বৃহস্পতিবার দোকান এবং গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। মোথাবাড়ির ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার মালদার ইংরেজবাজারে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলেন স্থানীয়দের একাংশ। দিকে দিকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিজেপি। এদিন মোথাবাড়িতে যাওয়ার পথে ইংরেজবাজারে বিজেপির প্রতিনিধি দলকে আটকায় পুলিশ। শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, তিনি ডিজি-র সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও করতে দেওয়া হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার রাতেই মালদার পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। শুক্রবার বাঁকুড়া শহরের স্টেশন মোড়, হুগলির ব্যান্ডেল এবং ঠাকুরপুকুরে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে বিজেপি।























