Malda News:বাড়ির সামনে আম কুড়োতে গিয়ে মালদায় বজ্রাঘাতে মৃত্যু কিশোরের
Adolescent Death Due To Thunderstorm:বাড়ির সামনে আম কুড়োতে গিয়ে মৃত্যু হল এক কিশোরের। রবিবার রাতে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হরিশচন্দ্র ২ নম্বর ব্লকের দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিকাপুর এলাকায়।
করুণাময় সিংহ, মালদা: বাড়ির সামনে আম কুড়োতে গিয়ে বজ্রাঘাতে (Adolescent Death) মৃত্যু হল এক কিশোরের। রবিবার রাতে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) হরিশচন্দ্র ২ নম্বর ব্লকের দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিকাপুর এলাকায়।
কী ঘটেছিল?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রুদ্র দাস। বয়স ১৫ বছর। নবম শ্রেণিতে পাঠরত ওই পড়ুয়া রবিবার সন্ধে নাগাদ ঝড় উঠতেই বাড়ির পাশে আমবাগানে গিয়েছিল। হঠাৎই আম কুড়োনোর সময় বাগানে লুটিয়ে পড়ে সে। এর পর পরিবারের সদস্যরা তড়িঘড়ি করে তাকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে এলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রুদ্রকে মৃত বলে ঘোষণা করে। কিশোরের মৃত্যুতে গোটা এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে। শুক্রবার খাস মহানগরেও বজ্রাঘাতে প্রাণ যায় ২ মহিলার। বৃষ্টিতে স্বস্তি মিললেও, সেই বিপত্তি এড়ানো যায়নি। সূত্রের খবর, ধাপার মাঠে বাজ পড়ে মৃত্যু ২ মহিলার। শুক্রবার দুপুর থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়। বহুদিন ধরেই তাপপ্রবাহে পুড়ছিল দক্ষিণবঙ্গ। উত্তরে স্বস্তির খবর মিলেছিল শুক্রবারই। প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয় উত্তরবঙ্গে। ভারতের মূল ভূখণ্ড কেরলে ঢোকে বর্ষা। পূর্বাভাস ছিল, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর-পূর্ব ভারতেও মৌসুমী বায়ু ঢুকবে।
মাসখানেক আগেও মর্মান্তিক ঘটনা...
গত এপ্রিলের শেষ দিকেও বৃষ্টিপাতের জেরে গোটা পূর্ব বর্ধমানে ৪ জনের মৃত্যু হয়। বজ্রপাতে আহত হয়েছেন ১ জন। ভাতারের বেলেণ্ডা গ্রামে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় মনসুর আলি শেখের (৩৫)। মৃতের বাবা আসগর আলির কথায়, ছেলেকে নিয়ে মাঠ থেকে ফিরছিলেন তিনি। কিছুটা আসার পরই বজ্রাঘাত টের পান। কিছুটা এগোতেতেই দেখেন পেছনে আসতে গিয়ে উলটে পড়ে গিয়েছেন মনসুর।' মৃতের বাবা আরও জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরু চলে যাওয়ার কথা ছিল মনসুরের। তাই তড়িঘড়ি ধান কেটে ঘরে ঢুকিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। জানা গিয়েছে, ২ বিঘে চাষ করেছিল মনসুর। ১ বিঘের মত ধান কেটে ঘরে ঢোকাতে পেরেছিলেন। অন্যদিকে,কালনা মহকুমাতেও বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় এক জনের। মৃত খোকন শেখ (৪০) কালনা ১ ব্লকের কালিনগর পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা। এ দিন বজ্রাপাতে মৃত্যু হয়েছে খণ্ডঘোষের তোরকোনার বাসিন্দা রাসুদেব রায়ের (৫২)। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর মাঠে ধান কাটার তোলার কাজ করছিলেন বাসুদেববাবু। এই সময়ে বজ্রাপাতে জখম হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।অন্যদিকে, বজ্রাঘাতে গুরুতর জখম হন বর্ধমান থানার নতুনগ্রামের বাসিন্দা মফুজা বেগম (৩৫)। তিনিও মাঠ থেকে ধান তোলার কাজ করছিলেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মঙ্গলকোটের জাঁহাপুর গ্রামের বাসিন্দা আপাল লোহারের (৪১) মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন:শেষপাতে সুস্বাদু ডেজার্ট, আম দিয়ে চটজলদি বাড়িতেই তৈরি আইসক্রিম