Mango Ice Cream: শেষপাতে সুস্বাদু ডেজার্ট, আম দিয়ে চটজলদি বাড়িতেই তৈরি আইসক্রিম
Mango Ice Cream Making: জৈষ্ঠ্যের প্রখর রোদের তেজ। বাইরে থাকাই দায়। এই সময় খানিক স্বস্তি দেয় ঠান্ডা সুস্বাদু আইসক্রিম।
কলকাতা: কথায় বলে ‘Beat the Heat,’ অর্থাৎ যে কোনও উপায় গরমের মোকাবিলা করতে হবে। আর গরম মানেই হল আম। সারা বছর নানারকম আমের সন্ধান পাওয়া গেলেও। ফলের রাজার স্বাদ যেন এই মরসুমে আরেকটু বেড়ে যায়। তা সে শুধু আম হোক বা শরবত অথবা আচার। যে কোনওভাবেই আম খাওয়া যেতে পারে। আর আইসক্রিম হলে তো কথাই নেই। গরমকে মোকাবিলা করার অস্ত্র যেন দ্বিগুণ হয়ে যায়।
চটজলদি ম্যাঙ্গো আইসক্রিম: জৈষ্ঠ্যের প্রখর রোদের তেজ। বাইরে থাকাই দায়। এই সময় খানিক স্বস্তি দেয় ঠান্ডা সুস্বাদু আইসক্রিম। বাজারে নানারকম আইসক্রিম সারাবছরই পাওয়া যায়। তবে আইসক্রিম খাওয়ার নির্দিষ্ট কোনও মরসুম নেই। শুধু দরকার ইচ্ছেটুকু। তবে আইসক্রিম খাওয়ার জন্য যে সবসময় দোকানে যাওয়ার প্রয়োজন, এমন নয়। খুব সহজ পদ্ধতিতে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলা যায় সুস্বাদু ম্যাঙ্গো আইসক্রিম। ঘরে থাকা উপকরণ দিয়েই বানানো যাবে চটজলদি।
কীভাবে বানাবেন?
উপকরণ:
দুধ ২ কাপ (৫০০ মিলি)
চিনি অর্ধেক কাপ (১০০ গ্রাম)
আমের টুকরো এক কাপ (৩০০ গ্রাম)
হুইপ ক্রিম এক কাপ (২৫০ মিলি)
ওরেঞ্জ ফুড কালার
প্রণালী:
প্রথমে একটি পাত্র গ্যাসে বসাতে হবে। তাতে দিতে হবে দুকাপ দুধ। দুধ গরম হলে মেশাতে হবে চিনি। খেয়াল রাখতে মিডিয়াম হিটে যেন থাকে। হাই হিট হলে পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। যতক্ষণ পর্যন্ত না কনডেন্স মিল্কের মতো হচ্ছে ততক্ষণ হাতা বা খুন্তি দিয়ে নাড়াতে হবে। এবার একটা পাত্রে ঢেলে ঠান্ডা করতে হবে। কনডেন্স মিল্ক ঠান্ডা হলে মিক্সিতে আমের টুকরোর সঙ্গে মেশাতে হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত ব্লেন্ড করতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না মসৃণ হচ্ছে। অন্য একটি পাত্রে ঠান্ডা হুইপ ক্রিম ঢালতে হবে। ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ড বিট করে নিতে হবে। এবার ওই ক্রিমের সঙ্গে আম এবং কনডেন্স মিল্কের ব্লেন্ড মেশাতে হবে। ৪ থেকে ৫ ফোঁটা ওরেঞ্জ ফুড কালার মিশিয়ে নিন এরপর। সব উপকরণ একসঙ্গে মেশানোর জন্য ফের একবার ব্লেন্ড করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে মিশ্রণ যেন মসৃণ হয়। এবার একটা পাত্রে ওই মিশ্রণ ঢেলে তা ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের পর ফ্রিজ থেকে বের করে পাত্রে ঢেলে পরিবেশন করুন ম্যাঙ্গো আইসক্রিম।
আরও পড়ুন: Diabetes in India: চোখ রাঙাচ্ছে ডায়াবেটিস! গোয়ায় সর্বোচ্চ, ICMR রিপোর্টে বাংলার ছবিটা কী?