PMAY Scam: খবরের জেরে পদক্ষেপ, 'আবাস'-এ দুর্নীতি রুখতে ময়দানে প্রশাসন
Malda Administration On PMAY Scam: এবিপি আনন্দের খবরের জেরে এবার আবাস প্রকল্পে দুর্নীতি রুখতে ময়দানে প্রশাসন, স্থানীয় বিডিওর নির্দেশে গ্রামে গ্রামে ঘুরে চলল সচেতনতা প্রচার
অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: এবিপি আনন্দের খবরের জের। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। স্থানীয় বিডিওর নির্দেশে গ্রামে গ্রামে ঘুরে চলল সচেতনতা প্রচার। তৃণমূলের কাটমানির সংস্কৃতিতে জেরবার হয়েই পদক্ষেপ বলে কটাক্ষ করল বিজেপি ও কংগ্রেস। দুর্নীতিতে দলের কেউ জড়িত থাকলে রেয়াত নয় বলে কড়া বার্তা শোনা গেল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের মুখে।
এবিপি আনন্দের খবরের জেরে এবার আবাস প্রকল্পে দুর্নীতি রুখতে ময়দানে প্রশাসন।মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে উপভোক্তাদের সতর্ক করতে শুরু হল সচেতনতা প্রচার।এমনকী আবাস-তালিকা নিয়ে অভিযোগ জানানোর জন্য বিডিও অফিসে রাখা হল কমপ্লেন বক্স।আবাস যোজনার যোগ্য ব্যক্তিরা যাতে ঘর পান, তার জন্য রাজ্য সরকারের উদ্যোগে জেলায় জেলায় সমীক্ষা চললেও, একাধিক জেলা থেকে উঠে আসছে ভুরি ভুরি অনিয়মের অভিযোগ।ঘর পেতে হলে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যাকে কাটমানি দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের সোনাকুল গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ।
মালদার বাসিন্দা জ্যোৎস্না খাতুন বলেন, 'রেশন ডিলার ও তাঁর আত্মীয়রা বাড়ি পেয়েছেন।কিন্তু আমাদের নাম বাদ গেছে। ১০ হাজার টাকা কাটমানি চেয়েছিল। দিতে পারিনি বলে নাম কাটা গেছে।' এমনকী অভিযোগ ওঠে, প্রকৃত উপভোক্তাদের বদলে আবাস তালিকায় নাম রয়েছে পঞ্চায়েত সদস্যার রেশন ডিলার দেওর ও অন্য আত্মীয়দের।এবিপি আনন্দে এই খবর সম্প্রচারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।হরিশ্চন্দ্রপুর -এর বিডিওর নির্দেশে সোমবার দিনভর গ্রামে গ্রামে চলল সচেতনতা প্রচার। যা নিয়ে ফের একবার তৃণমূলকে বিঁধেছে বিরোধীরা।
বিজেপি, উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল বলেন ,'তাবড় তাবড় তৃণমূল নেতা এবং বড় বড় অট্টালিকা আছে, তাঁদের নাম নাকি আবাস তালিকায় আছে। ভাবলেই অবাক লাগছে, অথচ যাঁদের কুঁড়েঘর তাঁদের নাম কেটে দেওয়া হয়েছে।'তাঁরাও প্রচুর পরিমাণে কাটমানি দিয়েছে বলেই থেকে গেছে, না হলে থাকবে কেন!মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর কংগ্রেস নেতা আব্দুস শোভান বলেন, প্রশাসনও ভাল করে বোঝে যে তৃণমূল কাটমানি ছাড়া চলে না। যাতে না তুলতে পারে তার জন্য প্রচার করছে। তৃণমূল চোর এটা তো প্রমাণ হয়েই গেছে।
আরও পড়ুন, বাংলাদেশে এবার বাতিল হবে 'জয় বাংলা' স্লোগান !
মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর তৃণমূল নেতা মণিরুল আলম বলেন , কোনওরকম কোনও আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে যাতে আমাদের কোনও জনপ্রতিনিধি যেন জড়িয়ে না থাকেন। এই আর্থিক লেনদেনে দল এবং সরকার কেউ তাঁদের পাশে থাকবে না। BDO সাহেব এখানে কমপ্লেন বক্স দেখছেন, কমপ্লেন নেওয়ার সাথে সাথে আবার অফিসারকে দিয়ে খতিয়ে দেখতে পাঠানো হচ্ছে।এখানে দুর্নীতির কোনওরকম কোনও প্রশ্রয়ের জায়গা নেই। কিন্তু, এসবের পর যোগ্যরা কি ঘর পাবেন? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।