Malda News: প্রবল বর্ষণে নদী বাঁধ ভেঙে ভাসল মালদার একাধিক গ্রাম, জমা জলে ডেঙ্গির আশঙ্কা
Malda Water Logging: প্রবল বর্ষণে মালদায় নদী বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে ভেসেছে কাটিকান্দর, বৈরডাঙ্গি, ডোবা খোকশান, কদুবাড়ী-সহ একাধিক গ্রাম।
করণাময় সিংহ, মালদা: প্রবল বর্ষণে (Heavy Rain) জলস্ফীতির জেরে ভেঙে গেল টাঙ্গন নদীর বাঁধ। মালদার চাকনগর এলাকায় আজ সকালে ভেঙে যায় টাউন নদীর বাঁধ। যার জেরে তীরের বেগে জল ঢুকছে গ্রামে।
ইতিমধ্যেই জল ঢুকে ভেসেছে কাটিকান্দর, বৈরডাঙ্গি, ডোবা খোকশান, কদুবাড়ী-সহ একাধিক গ্রাম। এখনও জলমগ্ন ইংরেজবাজার শহরের একাংশ। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে। রাস্তার পাশাপাশি জল ঢুকে পড়েছে মানুষের বাড়িতেও। পুরসভার ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। আর এই জমা জল থেকেই বাড়তে বাড়ে ডেঙ্গির প্রবণতা আশঙ্কা করছেন পুরো নাগরিকদের একাংশ।
তবে শুধু মালদা জেলা নয়, সম্প্রতি প্রবল বর্ষণের জেরে প্রভাব পড়েছে বাঁকুড়াতেও। বাঁকুড়ায় জলে ডুবে থাকা সেতু দিয়ে পারাপার করতে গিয়ে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে ট্রাক্টর। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার মেজিয়া ব্লকের রামচন্দ্রপুর গ্রাম লাগোয়া এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার সময় ওই ট্রাক্টরে চালক সহ ৬ জন যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনার পর ট্রাক্টর ছেড়ে সাঁতার কেটে পাড়ে উঠে আসেন চালক-সহ যাত্রীরা। স্থানীয় ভাবে জানা গিয়েছে, মেজিয়া ব্লকের রামচন্দ্রপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে দামোদরের শাখা নদী।
গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জেলার অন্যান্য নদীর পাশাপাশি এই শাখা নদীতেও জলস্তর বৃদ্ধি পায়। নদীর উপর থাকা নিচু সেতুর উপর দিয়ে বেগে বইতে শুরু করে জল। আজ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই জল পেরিয়েই ট্রাক্টর নিয়ে রামচন্দ্রপুর থেকে মেজিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন চালক। ইঞ্জিনের দুপাশের সিটে ও পিছনের ট্রলিতে বসে ছিলেন আরও পাঁচ জন শ্রমিক।
সেতু দিয়ে পেরোনোর সময় আচমকাই জলের তোড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চালক ও যাত্রী সহ ট্রাক্টরটি সেতু থেকে নিচের দিকে নেমে যায়। চালক ও যাত্রীরা প্রত্যেকেই সাঁতার জানায় কোনোক্রমে সাঁতার কেটে পাড়ে ওঠেন তাঁরা। এলাকার মানুষের দাবী এবার পারাপারকারীরা প্রাণে বাঁচলেও সেতু নীচু হওয়ার কারনে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে ওই সেতুতে। অবিলম্বে ওই স্থানে উঁচু সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
টানা বৃষ্টিতে বাঁকুড়ার ২ নম্বর ব্লকের মানকানালি গ্রামে ডুবল গন্ধেশ্বরী নদীর সেতু। সমস্যায় অন্তত ৩০-৩৫টি গ্রামের বাসিন্দারা। বাঁকুড়া থেকে রানিগঞ্জ যাওয়ার অন্যতম রাস্তা গন্ধেশ্বরীর ওপরের এই সেতু। সকাল থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডুবে যাওয়া সেতু দিয়েই চলাচল করছেন স্থানীয়রা বাস ও পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ, বাঁকুড়া শহর লাগোয়া ১ নম্বর ব্লকের মীনাপুরের কজওয়ের ওপর দিয়ে বইছে দ্বারকেশ্বরের জল আশঙ্কায় ৪-৫টি গ্রামের বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন, কলকাতায় ডেঙ্গি রুখতে ড্রোন উড়িয়ে মশার লার্ভার খোঁজ
নিম্নচাপের বৃষ্টিতে অজয়ের জল বেড়ে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার শিবপুরে ভাঙল সেতু। জলের তোড়ে মাঝ নদীতে আটকে যায় পাথর বোঝাই ডাম্পার। কোনওরকমে লাফিয়ে প্রাণ বাঁচান চালক ও খালাসি। সেতু ভেঙে যাওয়া সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমের বাসিন্দারা।