Malda: ইংরেজবাজারে নয়াজুলিতে উল্টে গেল মিনিবাস, মৃত ১, আহত ৩০
Malda News: এখানেও সেই গতির লড়াইয়ের দিক উঠে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বয়ান অনুযায়ী যা জানা গিয়েছে একটি গাড়িকে মূলত ওভারটেক করতে চেয়েছিল সেই মিনিবাসটি।

মালদা: ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনার বলি হলেন ১, আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার ইংরেজবাজারে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ইংরেজবাজার এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মিনিবাস উল্টে গিয়ে পড়ে পাশেই একটি নয়ানজুলিতে। বাসে অনেক যাত্রী ছিলেন সে সময়। মিনিবাসটি মালদা থেকে রতুয়ার দিকে যাচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ উল্টে গেল কেন মিনিবাসটি?
এখানেও সেই গতির লড়াইয়ের দিক উঠে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বয়ান অনুযায়ী যা জানা গিয়েছে একটি গাড়িকে মূলত ওভারটেক করতে চেয়েছিল সেই মিনিবাসটি। যার ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায় বাসটি। সেই মুহূর্তেই নয়ানজুলিতে উল্টে পড়ে। তড়িঘড়ি স্থানীয়রা তৎপর হয়ে উদ্ধার করে বাসযাত্রীদের। আহতদের আপাতত মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মুর্শিদাবাদে রাস্তাই যেন মারণফাঁদ
বাস উল্টে যাওয়া নয়ানজুলিতে, এমন খবর এর আগেও প্রচুর সামনে এসেছে। এরই মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বেহাল রাস্তাগুলোও যে মারনফাঁদ তার ছবিও কিন্তু দেখা গিয়েছে। কিছুদিন আগে একটি খবর প্রকাশ্যে এসেছিল, মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে উল্টে গিয়েছিল পড়ুয়া বোঝাই টোটো। ক্যারাটে প্রশিক্ষক হজরত আলি মল্লিক খারাপ রাস্তার ছবি তুলছিলেন। সেই সময়েই দুর্ঘটনা ঘটে। বেসরকারি স্কুলের ১২ জন পড়ুয়াকে নিয়ে পলসণ্ডা মোড়ের দিক থেকে বড়বাথানের দিকে যাচ্ছিল টোটো। নবগ্রামে পলসণ্ডা-লালবাগ সদরঘাট রাজ্য সড়কে টোটো উল্টে যায়। স্থানীয়দের দাবি, ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে সংযোগকারী ১৪ কিলোমিটার রাজ্য সড়কের বেশিরভাগ অংশ বেহাল। পূর্ত দফতরের এই রাস্তা দীর্ঘ কয়েক বছর সংস্কার হয়নি বলে অভিযোগ। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
মুর্শিদাবাদ জেলার নবগ্রামের পলসণ্ডা থেকে লালবাগ সদরঘাট যাওয়ার ব্যস্ততম সড়কটি বর্তমানে একাধিক খানাখন্দে পরিণত হয়েছে মরণফাঁদে। প্রতিদিন এই রাস্তায় স্কুল পড়ুয়া, সাধারণ মানুষ, গাড়ি চালক এমনকি পর্যটকরাও দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এই রাস্তাটি ধরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান যেমন—স্কুল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ব্যাঙ্ক, কিরীটেশ্বরী মন্দির ও গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে যাতায়াত করতে হয় স্থানীয়দের। অথচ রাস্তার বেহাল দশার কারণে যানবাহন চলাচল তো বটেই, পায়ে হাঁটাও হয়ে উঠেছে দুর্বিসহ। বড় বড় গর্তে পড়ে যানবাহনের চাকা আটকে যাচ্ছে, ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার এই দুরবস্থা চললেও প্রশাসনের তরফ থেকে স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।






















