Malda News: সোনা পরিষ্কার করাবেন ? কোনও অজ্ঞাত পরিচয়ের এই ডাকে সাড়া দিয়েছেন কী মরেছেন ! মালদায় ঘটে গেল ভয়ঙ্কর ঘটনা
Malda Gold Jewellery Theft Case : সোনার গয়না চকচকে করাতে চান ? ফেরিওয়ালার কথায় বিশ্বাস করে দরজা খুলেছিলেন মালদার কিছু গৃহবধূ,তারপর যা হল..

অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: ফেরিওয়ালা সেজে দীর্ঘ একবছর ধরে এলাকা জুড়ে সোনা টিভি ফ্রিজ পরিষ্কারের নামে চলছিল প্রতারণা চক্র। বাড়িতে ঢুকে পাউডার দিয়ে মহিলাদের অজ্ঞান করে সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দিচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। তাঁদের নাগাল পেতে কালঘাম ছুটছিল পুলিশের। অবশেষে মিলল সাফল্য, পুলিশের জালে মূল পান্ডা, বিহার থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত।
আরও পড়ুন, পাক-হ্যান্ডলারদের সাহায্যে বাংলাদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল জ্যোতি? ক্রমশ ঘনীভূত রহস্য
দীর্ঘ এক বছর ধরে এলাকা জুড়ে চলছিল প্রতারণা চক্র। সোনা পরিষ্কার করার নামে আবার কখনও টিভি ফ্রিজ ঠিক করার নামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিশেষ পাউডার দিয়ে অজ্ঞান করে সোনা নিয়ে চম্পট দিচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ হয়ে ছিল থানায়। কিন্তু দুষ্কৃতীদের ধরতে কাল ঘাম ছুটছিল পুলিশের। অবশেষে পুলিশের জালে মূল পাণ্ডা। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে একাধিক তল্লাশি অভিযানের পর বিহার থেকে দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় বিগত এক বছর ধরে বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে এই ধরণের প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। ফেরিওয়ালা সেজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সোনা পরিষ্কারের কথা বলছিল তারা। তারপর সোনার গয়না হাতে পেলেই মহিলাদের পাউডার দিয়ে অজ্ঞান করে সেই গয়না নিয়ে চম্পট দিচ্ছিল। আবার অনেকের বাড়ি এসি ফ্রিজ পরিষ্কার করার নাম করে যাচ্ছিল।অনেকে তাদের জালে পা দেয়নি। আবার অনেকে দিয়ে ছিল।এরকমই প্রতারণার শিকার হয়ে ছিলেন পিপলা গ্রামের ঝর্ণা মাইতি, পিয়ালী চক্রবর্তীরা।

হরিশ্চন্দ্রপুর থানাতে অভিযোগ দায়ের করে ছিলেন। পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু করে। বাংলা বিহার সীমান্তে নাকা চেক পয়েন্টে চলে তল্লাশি অভিযান। যদিও দুষ্কৃতীদের নাগাল পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে মিলল সাফল্য। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশের জালে মুল পান্ডা। বিহারের ভাগলপুরের গোপালপুর থানা এলাকার থেকে গ্রেফতার মহম্মদ সাদ্দাম (৩৫)।ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। পেছনে আরো বড় কোন মাথা আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতকে মঙ্গলবার চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।দুষ্কৃতী গ্রেফতার হওয়াই খুশি প্রতারিতরা। যদিও তাদের মনেও থেকে গেছে আতঙ্ক।

সম্প্রতি ব্য়াঙ্কের লকার থেকে গয়না চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন ব্য়াঙ্কের লকার ইনচার্জ। গ্রেফতার হয়েছিলেন তাঁর দাদা। তল্লাশি অভিযানে উদ্ধার হয়েছিল প্রচুর সোনার গয়না এবং লক্ষ লক্ষ টাকা। অভিযুক্তদের পুলিশ হেফাজত হয়। ব্য়াঙ্কের লকার ইনচার্জের বিরুদ্ধেই উঠেছিল লক্ষ লক্ষ টাকার গয়না চুরির অভিযোগ! গ্রেফতার হন একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের লকার ইন চার্জ । গ্রেফতার হন তাঁর দাদাও। পুলিশ সূত্রে খবর,তাঁদের কসবার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ৩০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি, লেকটাউন ও কসবার দুটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল ৫৬ লক্ষ টাকার সোনার গয়না। বাজেয়াপ্ত করা হয় দামি ফোন, ল্য়াপটপ, গাড়ি-সহ ব্য়াঙ্কের বিভিন্ন নথি।






















