Malda: মালদায় হবিবপুর ব্লকে শাশুড়িকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা জামাইয়ের
Malda: রক্তাক্ত অবস্থায় বুলবুলচন্ডী গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আহতদের। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ৩ জনকেই স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা।
অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: শাশুড়িকে কোপ মারার অভিযোগ জামাইয়ের বিরুদ্ধে। স্বামী -স্ত্রীর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে স্ত্রী মাথা ফাটিয়ে শাশুড়িকে হাঁসুয়ার কোপ মারার অভিযোগ জামাইয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে হবিবপুর ব্লকের জাজইল অঞ্চলের আগ্রা হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায়। পাল্টা পরিবারের লোকেরা জামাইকে মেরে পা ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় বুলবুলচন্ডী গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আহতদের। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ৩ জনকেই স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা।
আহতরা জানিয়েছে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে স্বামী স্ত্রীর মাথা ফাটিয়ে দেয়। শাশুড়ি পাশের গ্রাম ভবানীপুর থেকে আহত মেয়েকে দেখতে আসলে, জামাই শাশুড়িকে হাঁসুয়ার কোপ মারে। আহতদের এলাকাবাসীরা রক্তাক্ত অবস্থায় বুলবুলচন্ডী আর এন রায় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাদের স্থানান্তর করা হয় মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। ঘটনার তদন্ত শুরু করছে পুলিশ।
অন্যদিকে গতকালই এক যুবকের খোঁজ না পেয়ে তাঁর আত্মীয়কে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল নদিয়ার রানাঘাটে। ধারাল অস্ত্রের কোপে গুরুতর জখম আক্রান্ত যুবক। আক্রান্তের দাবি, রবিবার রাত ১২টা নাগাদ মনসা পুজোর অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে, রাস্তায় তাঁর দাদার শ্যালকের খোঁজ করেন এক ব্যক্তি। তিনি সঙ্গে না থাকায় ফোন করে তাঁকে ডেকে আনার জন্য চাপ দেওয়া হয়। অভিযোগ, তাতে রাজি না হওয়ায় আচমকাই ধারাল অস্ত্র নিয়ে চড়াও হন ওই ব্যক্তি। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই যুবককে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় রানাঘাট থানা এবং এসডিপিও-র কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে আক্রান্তের পরিবার। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পুরনো বিবাদের জেরে এই হামলা। অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক।
আরও পড়ুন: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্বামীকে খুন, গ্রেফতার স্ত্রী ও পিসতুতো ভাই
আহত যুবকের নাম জয়দেব বিশ্বাস। বয়স ২১ বছর। তিনি পেশায় দিনমজুর। বাড়ি রায়নগর গ্রামে। অভিযোগ, গত রবিবার অর্থাৎ ১৯ সেপ্টেম্বর রাত প্রায় ১২টা নাগাদ মুড়াগাছা থেকে মনসা পূজার গান শুনে বাড়ি ফেরার পথে ব্রিজ পাড়া এলাকায় জয়দেবের কাছে এগিয়ে আসেন স্থানীয় রতন দাস নামে এক ব্যক্তি। তিনি এসে জয়দেবের দূর সম্পর্কিত ভাই সুজিত বিশ্বাসের খোঁজ করতে থাকেন। জয়দেবের সঙ্গে সুজিত নেই বললে তাঁকে ফোন করে ঘটনাস্থলে ডেকে আনার জন্য চাপ দিতে থাকেন জয়দেব। তাতে অস্বীকার করলে তখন জয়দেবকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করেন রতন। এরপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে জয়দেবের গলায় কোপ দেন রতন। জয়দেবের চিৎকারে স্থানীয়রা এলাকায় জড়ো হতেই বেগতিক দেখে পালিয়ে যান রতন।