Malda: বাম-কংগ্রেস জোটের হাতে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিল তৃণমূল, বিরোধীশূন্য মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক
Malda News: মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে বিরোধীদের হাতে থাকা একমাত্র পঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভয় দেখিয়ে দলবদলের অভিযোগ করেছে বাম-কংগ্রেস। পাল্টা জবাব দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল।
অভিজিৎ চৌধুরী, হরিশ্চন্দ্রপুর: বিরোধীশূন্য হয়ে গেল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক। বাম-কংগ্রেস জোটের হাতে থাকা মালিওর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিল তৃণমূল কংগ্রেস।
হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে শুধু মালিওর ২ পঞ্চায়েত ছিল বিরোধীদের দখলে। ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটে মালিওর ২-এর ৯টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জেতে চারটিতে। কংগ্রেস তিনটি আসন জেতে এবং সিপিএমের দখলে যায় দু’টি আসন। জোট করে বোর্ড গড়ে কংগ্রেস ও সিপিএম। তবে দিন কয়েক আগে কংগ্রেসের উপপ্রধান তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় বোর্ড।
আজ ছিল প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে ভোটাভুটি। উত্তেজনা থাকায় পঞ্চায়েত অফিস চত্বরে মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ। বাম-কংগ্রেসের চারজন সদস্য অনুপস্থিত থাকায় জিতে যায় শাসক দল।
ভয় দেখিয়ে দলবদলের অভিযোগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বাম-কংগ্রেস। হরিশ্চন্দ্রপুরের কংগ্রেস নেতা আব্দুল শোভনের দাবি, ‘লুটে খাওয়ার জন্য আমাদের মেম্বারদের ভয় দেখিয়ে বোর্ড গঠনের চেষ্টা করছে। কিন্তু ভবিষ্যতে মানুষ আমাদের পাশে থাকবে।’
মালদার সিপিএম জেলা কমিটির সদস্য গৌর হাজারির দাবি, ‘ভয় দেখিয়ে তৃণমূল তাদের দলে নিয়ে যায়। ওরা আমাদের আর্দশ ত্যাগ করেছে। কী বলব!’
অভিযোগ উড়িয়ে, বিরোধীদের পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল নেতা আশরাফুল হকের দাবি, ‘সিপিএমের প্রধান কিছু করেননি। তাই কংগ্রেসের এক মেম্বার আমাদের দলে চলে আসেন। এই অঞ্চল যাতে সাজাতে পারি তার জন্য প্রধানকে সরাতে অনাস্থা আনা হয়েছে।’
তৃণমূল সূত্রে খবর, কয়েকদিনের মধ্যেই নতুন প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচন করা হবে।
অন্যদিকে, মালদায় আরও একটি গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল বিজেপির। ভোটাভুটিতে অপসারিত পুরাতন মালদার সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান। ২০১৮-য় ২৩ আসনের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৩টি আসন দখল করে বিজেপি। তৃণমূল ৪, কংগ্রেস ৪ এবং সিপিএম ও নির্দল একটি করে আসন পায়। মাসখানেক আগে বিজেপির ৩, কংগ্রেসের ৩, সিপিএমের ১ এবং একজন নির্দল তৃণমূলে যোগ দেন। এরপর দুর্নীতির অভিযোগে অনাস্থা এনে বিজেপি প্রধানকে অপসারণ করা হয়। অভিযোগ অস্বীকার অপসারিত প্রধানের।
এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির অভিযোগ, তাদের সদস্যদের ভয় দেখিয়ে, তুলে নিয়ে গিয়ে অনাস্থা আনা হয়। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, ভয় প্রলোভনের রাজনীতিতে তারা বিশ্বাসী নয়।