Mamata Banerjee: "চিকেন-সবজির এত দাম কেন? লোকে খাবে কী?" প্রশ্ন 'ক্ষুদ্ধ' মমতার
Mamata on Chicken Price: জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির হার কমাতে, সোমবার নবান্নে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সুমন ঘড়াই এবং দীপক ঘোষ, কলকাতা: ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে হিমঘর থেকে সমস্ত আলু বের করে দিতে হবে। মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে নবান্নর বৈঠকে এই নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুরগির মাংস (Chicken) ও সবজির (Vegetables) অতিরিক্ত দাম নিয়েও ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দেশের মধ্যে মূল্যবৃদ্ধির হার বেশি বাংলাতেই (West Bengal)। কটাক্ষ করেছে বিজেপি (BJP)।
সাধারণত শীতে সবজির দাম কমে। কিন্তু, এবার এখনও পর্যন্ত ঠান্ডার আমেজ বাড়লেও, সেভাবে আলুর দাম কমতে দেখা যাচ্ছে না। গড়িয়াহাট বাজারে জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৪ থেকে ২৫ টাকা কেজিতে। চন্দ্রমুখী ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।
এই পরিস্থিতিতে জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির হার কমাতে, সোমবার নবান্নে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে টাস্কফোর্সের প্রতিনিধি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, কৃষিমন্ত্রী, কৃষি বিপণনমন্ত্রী এবং পঞ্চায়েতমন্ত্রী।
ওই বৈঠকেই আলুর দাম কমাতে, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে হিমঘর থেকে সমস্ত আলু বের করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "কোল্ড স্টোরেজে যা আলু আছে, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বের করতে হবে। তাহলে আলুর দাম কমবে। চাষিরা দাম পাচ্ছে না। চাষিরা যদি সাবলম্বি হয়, তাহলে এর থেকে ভাল কিছু হয় না।"
আরও পড়ুন, আমি ক্ষমতায় এসে নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিই : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রসঙ্গত, পেট্রোল সেঞ্চুরি করেছে অনেক আগেই। ডিজেলও সেই ১০০-র ধারেকাছে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পরিবহণ খরচ বেড়ে যাওয়ায় তার প্রভাব পড়েছে সবজির দামেও।মাঝে রয়েছে ফড়েদের ‘দাপট’। তাই দাম-বৃদ্ধি নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজা লেগেই রয়েছে।
মমতা বলেন, "চিকেনের দাম এত কেন? লোকে খাবে কী? ১৮৫ টাকা হল কেন মাংসের দাম?. একটা বাঁধাকপির দাম কেন ৪০ থেকে ৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে? এত টাকা দিয়ে সব্জি কেন বিক্রি হচ্ছে?
এদিকে, এ বিষয়ে সুর চড়িয়েছে রাজ্য বিজেপিও। পদ্ম শিবিরের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য, "সর্বাধিক মূল্যবৃদ্ধি এরাজ্যেই, কারণ তৃণমূল ট্যাক্স, চাষিরা দাম পাচ্ছে না, এর জন্য দায়ী সরকার।"
সবজি বিক্রি করে দাম পাচ্ছে না চাষিরা। উল্টে চাষের সামগ্রীর খরচ বেড়ে যাওয়ায় কার্যত শাখের করাতের মাঝে পড়ে রয়েছেন চাষিরা। এই কঠিন পরিস্থিতি রেহাই দিতে, রাজ্যে সার ও বীজ উৎপাদন কারখানা তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, আমাদের উচিত, সারের কারখানা, বীজের কারখানা তৈরি করা উচিত। তার জন্য জমি দেব। যারা রাজি হবে কারখানা করতে, তাদেরকে ৩ বছরের বরাত দেব।"