Mamata Banerjee : গঙ্গাসাগরের জন্য এক পয়সা বাতাসা দিয়েও কেন্দ্র সাহায্য করে না, বললেন মুখ্যমন্ত্রী
Mamata Banerjee At Gangasagar : গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা ঘোষণা করার আর্জি মুখ্যমন্ত্রী জানান কেন্দ্রকে।
গঙ্গাসাগর : গঙ্গাসাগরে ( Ganga Sagar ) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতেই মুখ্যমন্ত্রীর ( CM Mamata Banerjee ) এই সফর। ডুমুরজলার আদলে সাগরে তৈরি হয়েছে নতুন হেলিপ্যাড। হেলিপ্যাডের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। বুধবারই রওনা দিলেন তিনি। সূচনা করে বললেন আজ থেকেই আলোকমালায় সেজে উঠবে গঙ্গাসাগর।
গঙ্গাসাগরে এসে অন্য তীর্থ দর্শন
প্রতিবছরই পরিদর্শনে আসেন তিনি। বিভিন্ন মন্ত্রী ও সরকারি আধিকারিক দায়িত্বে থাকবেন সার্বিক দায়িত্ব নেওয়ার জন্য। গঙ্গাসাগর মেলায় এবার একটি নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এবার দক্ষিণেশ্বরের কালীবাড়ি, তারাপীঠ, কালীমন্দির, জহুরা কালীবাড়ি ও তারকেশ্বর দর্শন করানো হবে সেখানেই। একটি আধুনিক গেস্ট হাউস তৈরি হয়েছে ৬৫ লক্ষ টাকা খরচ করে। সমুদ্র তট মেরামতি করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।
প্রাণ হারালে ৫ লক্ষ টাকার বিমা
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, কাকদ্বীপে নতুন সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে। এতে বহু মানুষ উপকৃত হবেন। এছাড়া রাজ্য সরকার আগেই গঙ্গা সাগর যাত্রীদের তীর্থকর মকুব করেছে। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, কোনও মানুষ মেলা চলাকালীন সেখানে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালে ৫ লক্ষ টাকার বিমা করানো হয়েছে।
আর কী কী ব্যবস্থা
এছাড়া উৎসবে ১০ হাজারের বেশি স্থায়ী শৌচাগার করা হয়েছে। আলোকমালায় সাজানো হয়েছে সব কিছু। রাস্তা বাঁধানো হয়েছে। রয়েছে পানীয় জলের এলাহি ব্যবস্থা। লেজার শো, ফুড কোর্টের ঢালাও আয়োজন করা হয়েছে। নানাভাবে সাজানো হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণ। কাকদ্বীপে স্থায়ী জেটি তৈরি করা হয়েছে। মুড়িগঙ্গা খনন করে গভীরতা বাড়ানো হয়েছে যাতায়াতের সুবিধের জন্য।
'সাহায্যের আবেদন করেও সাড়া মেলেনি কেন্দ্রের তরফে'
এরপর কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বলেন, ' কুম্ভ মেলা সারা পৃথিবীতে বিরল মেলা। কিন্তু সব তীর্থ বারবার, গঙ্গা সাগর একবার। এই তীর্থে সকলকে জল পেরিয়ে কোটিখানেক মানুষ যাতায়াত করেন। বিষয়টা খুবই কঠিন। কেন্দ্রকে এই নিয়ে সাহায্যের আবেদন করেও সাড়া মেলেনি বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া মুড়িগঙ্গার উপর সেতু গড়ার পরিকল্পনাও চালানো হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা ঘোষণা করার আর্জি জানান কেন্দ্রকে। কুম্ভ মেলা কেন্দ্রের খরচে চললেও গঙ্গাসাগর কোনও অনুদান দেয় না। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, কেন্দ্র এক পয়সার বাতাসা দিয়েও সাহায্য করে না।
গঙ্গাসাগরে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসীদের সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি, কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। মেলা প্রাঙ্গণের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার ফাঁকে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলারও সম্ভাবনা রয়েছে। রাতে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামীকাল তাঁর কলকাতায় ফেরার কথা।