Mamata Banerjee: 'বিজেপির মতে যে কোনও মানুষ পাগড়ি পরলেই তিনি খালিস্তানি', পুলিশ অফিসারের প্রসঙ্গ টেনে সরব মমতা
BJP News: পুলিশের তরফে একদম সামনের সারিতে ছিলেন IPS অফিসার যশপ্রীত সিংহ
কলকাতা : রাজ্য় সরকার ডিভিশন বেঞ্চে গেছে। এই দাবি করে আজ ধামাখালিতে শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি বিধায়কদের ৬ সদস্য়র দলকে আটকে দেয় পুলিশ। এই সময়ে পুলিশের তরফে একদম সামনের সারিতে ছিলেন IPS অফিসার যশপ্রীত সিংহ। একটা সময় পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বিরোধী দলনেতার উত্তপ্ত বাক্য় বিনিময় শুরু হয়। বচসায় জড়ান বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্ব। ঠিক সেই সময় 'খলিস্তানি' আখ্যা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের বাদানুবাদ শুরু হয় বলে অভিযোগ। আর এনিয়ে এবার এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় । তিনি একহাত নিলেন বিজেপিকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতা লিখলেন, 'আজ বিজেপির বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনীতি নির্লজ্জভাবে সাংবিধানিক সীমারেখা পর্যন্ত অতিক্রম করে গেছে। বিজেপির মতে যে কোনও মানুষ পাগড়ি পরলেই তিনি খালিস্তানি। আমাদের শিখ ভাই-বোনদের এভাবে অপমান করার চেষ্টার আমি তীব্র নিন্দা করি। দেশের জন্য তাদের ত্যাগ এবং তিতিক্ষার কথা মনে রাখা উচিত। আমরা বাংলার সামাজিক সংহতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ । সংহতি নষ্ট করার কোনও চেষ্টা হলে তাকে কড়া হাতে দমন করা হবে।
Today, the BJP's divisive politics has shamelessly overstepped constitutional boundaries. As per @BJP4India every person wearing a TURBAN is a KHALISTANI.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) February 20, 2024
I VEHEMENTLY CONDEMN this audacious attempt to undermine the reputation of our SIKH BROTHERS & SISTERS, revered for their… pic.twitter.com/toYs8LhiuU
রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, "একজন অফিসার যশপ্রীত সিং। বিজেপি যখন এগোচ্ছে তিনি ব্যারিকেড করেন। আইনের ব্যাপার। তখন কোর্টের নির্দেশ আসেনি। তখন বিজেপি থেকে তাঁকে খলিস্তানি বলা হচ্ছে। এইটাই তো বিজেপির সমস্যা। আমরা তীব্র নিন্দা করছি। "
এই নিয়ে তৃতীয়বার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে পড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ পাঁচ বিধায়ককে নিয়ে নিজাম প্যালেস থেকে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেন বিরোধী দলনেতা। সকাল ১১টা নাগাদ ধামাখালিতে পৌঁছন বিজেপি বিধায়করা। রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে বলে দাবি করে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। ধামাখালিতেই রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন শুভেন্দু-সহ বিজেপি বিধায়করা। এরপর প্রধান বিচারপতি অনুমতি দেওয়ায়, বেলা সোয়া ১২টা নাগাদ ধামাখালি থেকে নৌকায় চড়ে সন্দেশখালির পথে রওনা দেন শুভেন্দু অধিকারী ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ তাঁরা সেখানে পৌঁছন। শুভেন্দু পৌঁছতেই সন্দেশখালিতে শোনা গেল জয় শ্রীরাম স্লোগান। এদিন শুভেন্দু, শঙ্কর ছাড়াও ধামাখালিতে যান আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, কাঁথি উত্তরের বিধায়ক সুমিতা সিংহ, হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল ও কালচিনির বিধায়ক বিশাল লামা। এর আগে দু’বার সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। রাজ্য প্রশাসনের বাধায় তা সম্ভব হয়নি। এবার কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে সন্দেশখালিতে যাচ্ছিলেন শুভেন্দু। এবারও তাঁকে আটকাতে রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চে যেতে পারে বলে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু জানান, আদালত নির্দেশ দিলে তক্ষণাৎ ফিরে আসবেন। কিন্তু পুলিশ আটকালে কলকাতায় ফিরে সরাসরি হাজির হবেন হাইকোর্টে বিচারপতি কৌশিক চন্দর এজলাসে।