Mamata Banerjee: 'বিএসএফ গুলি করে মারলে, ক'টা টিম আসে?' রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল নিয়ে সরব মমতা
Mamata in Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে প্রশাসনিক সভা মমতার। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে অভিযোগ
আলিপুরদুয়ার: একশো দিনের প্রকল্পের কাজের দুর্নীতির অভিযোগে, আবাস যোজনার কাজে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বারবার। বিরোধীরা তা নিয়ে বারবার নিশানা করেছে রাজ্য সরকারকে। সম্প্রতি আবাস যোজনা তালিকা নিয়ে প্রবল জলঘোলা হচ্ছে রাজ্যে। ওই ঘটনায় ইতিমধ্য়েই রাজ্যে দ্বিতীয় দফায় কেন্দ্রীয় দল এসেছে। তা নিয়ে চড়ছে রাজনৈতিক পারদও। এবার এই বিষয়ে আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তুলে আনলেন বিএসএফ-প্রসঙ্গও।
মমতার নিশানা:
তিনি বলেন, 'চকোলেট বোম ফাটলেও NIA আসে। উইপোকা কামড়ালেও দিল্লির টিম আসছে। বিএসএফ গুলি করে মারলে, ক'টা টিম আসে?'
বিএসএফ-ইস্যু:
গত বছরে কোচবিহারে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে যুবকের মৃত্যু ঘিরে তেতে উঠেছিল বাংলার রাজনীতি। তৃণমূলের (TMC) শাসনে বিএসফ-কে (BSF Firnig) রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ ছিল শাসকদলের। গত বছরে, শুধুমাত্র কোচবিহারেই বিএসএফ-এর পাঁচটি গুলি চালানোর ঘটনা এবং তাতে মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছিল।
২০২২-এর ১৭ মার্চ কোচবিহারেরই মাথাভাঙায় বিএসএফ-এর গুলিতে একজনের মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছিল। জানা যায়, তিনি বাংলাদেশি নাগরিক। অনুপ্রবেশ রুখতে গুলি বিএসএফ গুলি চালাতে হয় বলে সেই সময় জানানো হয়। সেই ঘটনার সঙ্গে চোরাচালান সংযোগও তুলে ধরা হয়। এর পরে ১০ এপ্রিল কোচবিহারের সিতাইয়ে বিএসএফ-এর গুলি চালানোর ঘটনা সামনে আসে। তাতে তিন জনের মৃত্যু হয়। কাঁটাতার পেরিয়ে তাঁরা গরুপাচারের চেষ্টা করছিলেন বলে বিএসএফ-এর তরফে জানানো হয়। সে বার বাংলার নাগরিকদের উপর বিএসএফ জুলুম করছে বলে দাবি করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ। তাঁর অভিযোগ ছিল, সীমান্তের ১৫০ গজ ভিতরে কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে। নিজেদের ভূখণ্ড ছেড়ে বেড়া দেওয়া হচ্ছে। তার ফলে ঘোরাঘুরি করতে দেখলেও জুলুম করা হয়। এমনকি তাঁদের মতো নেতারাও বিএসএফ-এর জুলম থেকে ছাড় পান না বলে দাবি করেছিলেন উদয়ন।
বকেয়া নিয়েও তোপ:
আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) প্রশাসনিক সভায় বকেয়া নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন তিনি বলেন, 'আপনারা হয়ত দুঃখ পাবেন। খুশিও হতে পারেন। কেন্দ্র আমাদের সব ফান্ড বন্ধ করে দিয়েছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা দেয়বি। ৬ হাজার কোটি টাকা পাই। তা সত্ত্বেও একদিনও জবকার্ড হোল্ডারদের কাজ আটকায়নি। ৪০ লক্ষ জবকার্ড হোল্ডারদের কাজ দিয়েছি।'
আরও পড়ুন: ছবি তাঁদেরই টাঙানো যায়, যাঁরা... নাম না করে মোদিকে তীব্র আক্রমণ মমতার