Mamata Banerjee on Covid: 'প্রস্তুতি সেরে রাখলাম', করোনা নিয়ে নবান্নে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর! রাজ্যবাসীকে বললেন...
Covid Cases in West Bengal: এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে করোনা নিয়ে নবান্নে বৈঠক সারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কলকাতা: দেশে আতঙ্ক বৃদ্ধি করছে কোভিড। এখনও পর্যন্ত ছ'হাজার ছাড়িয়ে গেল দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যায় তৃতীয় স্থানে বাংলা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সোমবারের বুলেটিন বলছে, এই মুহুর্তে করোনা অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৬ হাজার ৪৯১। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আরও ৬ হাজার ৮৬১।
এদিকে এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে করোনা নিয়ে নবান্নে বৈঠক সারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তিনি সংশ্লিষ্ট সব দফতরের সঙ্গে বৈঠক করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'প্রস্তুতি সেরে রাখলাম, তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আশা করি প্যানডেমিক আর হবে না। যা যা দরকার সবই সরকারি হাসপাতালে আছে। ভ্যাকসিনও বেরিয়েছে, সবাই ভ্যাকসিন নিয়েও নিয়েছে। এখনই আমরা কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। কেউ ভয় পাবেন না। বর্ষাকালে একটু সর্দিকাশি হয়। আতঙ্কিত অবস্থার কারণ নেই, স্বাভাবিক অবস্থাই বজায় থাকবে'।
এদিন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিডন স্ট্রিটের কাছে মাধব দাস লেনের বাসিন্দা ১ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। ওই ব্যক্তি বেলেঘাটা আইডি-তে মারা গেছেন বলে খবর। গত ৬ জুন তারিখ বিকেলে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫৮ জন। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুজরাটে। সেখানে একদিনে ১৫৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। গুজরাটের পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কর্নাটক। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭। তৃতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় ৫৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সংক্রমণের ক্ষেত্রেও, পাঁচ দিন মাস্ক পরা, সাত দিন আইসোলেশনে থাকা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা এবং অন্যদের সঙ্গে কথা বলার সময় ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রাখার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
ইতিমধ্যেই দিল্লিতে বৈঠক করে, সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অক্সিজেন, আইসোলেশন বেড, ভেন্টিলেটর এবং জরুরি ওষুধের পর্যাপ্ত বন্দোবস্ত রাখতে।






















