Mamata Banerjee: 'টাকা খাওয়ার জন্য রাজ্যের বদনাম হচ্ছে', জমি-জবরদখল নিয়ে মমতার তোপে পুরসভাগুলি
Mamata on Municipal Service: জমি-জবরদখল নিয়ে তীব্র আক্রমণে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
কলকাতা: লোকসভায় (Lok Sabha Election 2024) তৃণমূলের দুরন্ত সাফল্যের পরেও শহর এলাকার ভোটব্য়াঙ্কে বড়সড় ধাক্কা লেগেছে তৃণমূলের। সারা রাজ্য়ের একাধিক পুর এলাকায় ভোটপ্রাপ্তির নিরিখে বিজেপির পিছনে তৃণমূল। এই আবহে পুর পরিষেবা নিয়ে নবান্নে বৈঠক মমতার। আর সেই বৈঠকে পুর পরিষেবার বেহাল দশা নিয়ে আক্রমণাত্মক মুখ্য়মন্ত্রী (Mamata Banerjee)। খোদ মমতা তুললেন পুর পরিষেবায় দুর্নীতির কথা।
এতদিন পুর-পরিষেবা নিয়ে, জমি জবরদখল নিয়ে আক্রমণ শানাতেন বিরোধীরা। এবার সেই অভিযোগই মমতার মুখে। নবান্ন সভাগৃহের মিটিংয়ে মমতার (CM Mamata Banerjee) তোপ, 'কোথাও জবরদখল হলে, সঙ্গে সঙ্গে কেন পদক্ষেপ নয়? কেউ টাকা খেয়ে, কেউ খাইয়ে এসব করছে।' এভাবে টাকার বিনিময়ে এসব কাজের জন্য রাজ্যের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর তোপ, 'একটা গ্রুপ তৈরি হয়েছে, খালি জায়গা দেখলেই লোক বসাচ্ছে। একেই কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না, টাকা খাওয়ার জন্য রাজ্যের বদনাম হচ্ছে। এসবে রাজ্যের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে।' মানুষ উন্নয়ন না পেলে সেই পুরসভা, পঞ্চায়েত রাখার দরকার কী?- এমন প্রশ্নও শোনা যায় মমতার মুখে।
'জমি বণ্টন এবার কেন্দ্রীয় ভাবে, ডিএম থেকে জনপ্রতিনিধি-সবার এক অবস্থা। ট্যাক্স বাড়ানো, লোক বসানো ছাড়া পুরসভা কোনও দায়িত্ব পালন করছে না', গড়িয়াহাট, হাতিবাগানে হকার নিয়ে পুরসভাকে তীব্র ভর্ৎসনা মুখ্যমন্ত্রীর। 'নোংরা করে রেখে দিয়েছে গোটা এলাকা। বেআইনি নির্মাণ, কেন গ্রেফতার নয়? কেন ভাঙা হচ্ছে না?', তোপ মমতার।
জল নিকাশির সমস্যা, পানীয় জলের সমস্যা থেকে আলোর সমস্যা- একাধিক অভিযোগ উঠেছে পুরসভার কাজ নিয়ে। সব কিছু নিয়েই তোপ দেগেছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর তোপ, 'জল নিকাশির জন্য় নর্দমা বনধ হয়ে যাচ্ছে। খাল ভরাট করে দিচ্ছে। মাফিয়া রাজ চলছে। সিপিএমের সময় থেকে শুরু হয়েছিল। সামনে ডেঙ্গি আসছে বর্ষার আগে নর্দমা পরিষ্কার করতে হবে। পুকুর-জলাশয় ভরাট হলে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করতে হবে। ভেঙে দিতে হবে যত বড় নেতারই হোক, যত বড় পুলিশ অফিসার যুক্ত থাকুন না কেন।'
দুর্গাপুরের প্রসঙ্গও আলাদা করে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর তোপ, 'দুর্গাপুরের হালও খুব খারাপ। কাউন্সিলর নেই যেখানে সেখানে একটা ফর্মূলা বের কর। আমি এখনও মনে করি অযোগ্য় লোকেদের দিয়ে কাজ করানো উচিত নয়। প্রত্য়েকটা পুরসভায় গিয়ে মানুষ হয়রান হয়। আমরা সব সার্টিফিকেট অনলাইন করে দিয়েছি। তারপরেও ট্রেড লাইসেন্স সব পেতে মানুষকে হয়রান হতে হয়। ভাল করে ভিজিল্য়ান্স করলে বেরিয়ে আসবে কে কত টাকা নিয়েছে।' পুরসভার নিজে থেকে কর বাড়ানো নিয়েও তোপ দেগেছেন তিনি। মমতার প্রশ্ন, 'হঠাৎ করে রবি ঘোষ একদিন ঘোষণা করে দিল কোচবিহারে কর বাড়িয়ে দেওয়া হল। তুমি কে ভাই? সরকারের অনুমতি ছাড়া কর বাড়ানো যাবে না। সম্পত্তি কর কালেকশনও অনলাইনে হবে।'
আরও পড়ুন: বড়া পাও বেচে দিনে ৪০ হাজার টাকা আয়! ইনি কে জানেন?