Mamata Banerjee: ‘সাবধান করেছিলেন গোপালকৃষ্ণ…ডাবল ডেকার বাস বেয়ে উঠে লাফ দিই’, স্মৃতিচারণ মমতার
CPM: বিজেপি-র মদতেই হিংসা ছড়িয়েছে বলে মঙ্গলবার দিঘা থেকে অভিযোগ করেন মমতা।
দিঘা: রামনবমীকে ঘিরে হিংসা ছড়িয়েছে হাওড়া থেকে হুগলিতে (Ram Navami Violence)। তা নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছে। সেই আবহে দিঘা থেকে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিজেপি (BJP) এবং সিপিএম-কে (CPM) এক আসনে বসিয়ে আক্রমণাত্মক স্বরও শোনা গেল মমতার গলায়। গোপালকৃষ্ণ গান্ধীকে নিয়েও করলেন স্মৃতিচারণ (Gopalkrishna Gandhi)।
বিজেপি-র মদতেই হিংসা ছড়িয়েছে বলে মঙ্গলবার দিঘা থেকে অভিযোগ করেন মমতা। সিপিএম-এর সঙ্গে সরাসরি তুলনা টানেন বিজেপি-র। সিপিএম-এর হার্মাদরাই এখন বিজেপি-তে বলে দাবি করেন। আর তা বলতে গিয়েই প্রথম জীবনের রাজনৈতিক দিনগুলিতে ফিরে যান মমতা। বলেন, "বাংলার মানুষ হিংসা ভালবাসেন না। হিংসা বাংলার সংস্কৃতি নয়। এটা অপরাধীদের দিয়ে হিংসা তৈরি করা। আগে সিপিএম এমন করত।"
মমতা এ দিন বলেন, "এটা সিপিএম করত। ৩৪ বছর অত্যাচার দেখেছেন তো! ভুলে যাননি তো! নন্দীগ্রাম, খেজুরি, তমলুক, মহিষাদল, কোলাঘাট, চণ্ডীপুর, হলদিয়া ভুলে যাননি তো! মনে আছে, হলদিয়ায় মিটিং করতে গিয়েছিলাম। লোকাল মাইক্রোফোনও নিতে দেয়নি। কলকাতা থেকে মাইক্রোফোন নিয়ে এসেছিলাম। রাস্তা আটকে দিয়েছিল নন্দীগ্রামে। এই যে চিত্ত মাইতি বসে রয়েছেন, বয়স্ক মানুষ। আনিসুর বলে একটি ছেলে ছিল। এখন সে জেলে। তাকে বললাম, তোর বাইক আছে? হ্যাঁ বলল। বাকিটা ওকে বলিনি। আমাকে তমলুকে আসতেই হবে। হাসাপাতালে অনেকে ভর্তি ছিল। নন্দীগ্রাম যেতে হবে আমাকে। তার আগের রাতে সুফিয়ান ফোন করে গুলির শব্দ শোনাল। শেখ সুফিয়ান, পীযূস ভুঁইয়াদের বাদ দিয়ে নন্দীগ্রাম হয় না।"
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: রামচন্দ্র বলেছিলেন বন্দুক নিয়ে মিছিল করতে? দিঘায় BJP-কে আক্রমণ মমতার
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর কথাও উল্লেখ করেন মমতা। বলেন, "আনিসুর বাইক চালাচ্ছিল। আমি পিছনে বসেছিলাম। এক একটি গ্রামে যাচ্ছি। সিপিএম বসে পড়ছে। আর গালাগালি দিচ্ছে, এক থেকে ১২ অক্ষর পর্যন্ত। তার আগের দিন কোলাঘাটে আমাকে মারার জন্য বোমা রেখেছিল। তখন গোপালকৃষ্ণ গান্ধী রাজ্যপাল। খবর দিয়ে বললেন, 'কোলাঘাট থেকে বেরিয়ে যান। ১টা বাজে। পেট্রোল বোমা মেরে উড়িয়ে দেবে আপনাকে'।"
প্রাণ বাঁচিয়ে কোলাঘাটে থাকতে গিয়েও বিপাকে পড়েন বলে জানান মমতা। বলেন, "কথা শুনে কোলাঘাট গেস্ট হাউসে গেলাম। বুক করা ছিল আগে থেকে। দেখলাম, বড় বড় গাড়ি, ডাবল ডেকার বাস দিয়ে দরজা বন্ধ করে রেখেছে। কিন্তু আমি গ্রামের মেয়ে। জন্ম আমার গ্রামে। সাঁতার কাটতে2, গাঠে উঠতে, ধান কাটতে, ধান তুলতে, মাছ ধরতেও পারি। আমি ডাবল ডেকার বাস বেয়ে উঠে লাফ দিয়ে ভিতরে ঢুকলাম। পর দিন বাইক নিয়ে বেরোলাম। সব রাস্তায় আটকাচ্ছিল। চালাকি করে অন্য রাস্তা দিয়ে, ঘুরে ঘুরে এগোই। ধরতে পারেনি। এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম। চিত্তদার সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী শিখা মাইতি। বললাম শাড়ি, সায়া, ব্লাউজ, মাজন এবং ব্রাশ লাগবে। এনে দিয়েছিলেন। তাতেই থাকতে পেরেছিলাম। আমি এগুলো ভুলি না। "