Mamata Banerjee: বিজেপি-র লোকাল প্রেসিডেন্টের মতো আচরণ, মমতার নিশানায় CBI-ED
Kolkata News: নিয়োগ দুর্নীতি থেকে গরুপাচার, কয়লা পাচার মামলায় এই মুহূর্তে বাংলা জুড়ে হইচই চলছে। শাসকদলের একাধিক নেতার নাম জড়িয়েছে বিভিন্ন মামলায়।
কলকাতা: বিরোধী জোট নিয়ে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। রাজনৈতিক স্বার্থে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহারের অভিযোগ উঠছে। সেই আবহে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI_ এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর (ED) উদ্দেশে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সিবিআই এবং ইডি-র আধিকারিকরা বিজেপি-র স্থানীয় সভাপতির মতো আচরণ করছেন বলে অভিযোগ করলেন।
মঙ্গলবার ওড়িশা সফরে যাচ্ছেন মমতা। তার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমন অভিযোগ তোলেন। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে (Narendra Modi) স্বৈরাচারী সরকার বলে উল্লেখ করেন। মমতা বলেন, "এ বারেও বাজেটে বাংলাকে একটা পয়সা দেয়নি। একমাত্র বাংলাকেই কিছু দেওয়া হয়নি। আবাস যোজনায় টাকা দেয়নি। দেয়নি আগের বকেয়া টাকাও। ৫৫ লক্ষ বাড়ির টাকা বাকি পড়ে রয়েছে। ১২ হাজার গ্রামের খারাপ রাস্তা সারিয়ে নতুন করে দিচ্ছি আমরা। সব নিজেদের টাকায় করছি। ১০০ দিনের কাজ, রাস্তা, আবাস নিয়ে কেন্দ্রের কাছ থেকে ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা পাই বিভিন্ন খাতে।"
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: বিজেপি-র লোকাল প্রেসিডেন্টের মতো আচরণ, মমতার নিশানায় CBI-ED
মমতা আরও বলেন, "মাস ছয়েক আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এসেছি। অমিত শাহ এসেছিলেন, তাঁকেও বলেছি। বার বার লিঠি লিখে বলা হয়েছে। তা সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃত ভাবে, বিজেপি-র কথায় খালি কিছু টিম পাঠিয়ে দিচ্ছে। কিছু না থাকলেও ইডি-সিবিআই-এর মতো সংস্থা...মনে হচ্ছে সিবিআই ডিরেক্টরই এখন বিজেপি-র স্থানীয় সভাপতি যেন! ইডি-রও তাই। এ ভাবে দেশ চলছে। এমন চলতে পারে না।"
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি থেকে গরুপাচার, কয়লা পাচার মামলায় এই মুহূর্তে বাংলা জুড়ে হইচই চলছে। শাসকদলের একাধিক নেতার নাম জড়িয়েছে বিভিন্ন মামলায়। তা নিয়ে লাগাতার আক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছে রাজ্যকে। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থাগুলি। নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অপব্যবহার করছে বিজেপি।
এ দিন প্রাপ্য বকেয়া নিয়েও মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা। জানান, ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা থেকে সড়ক নির্মাণের সব টাকা বাকি রেখেছে কেন্দ্র। বিভিন্ন খাতে কেন্দ্রের কাছ থেকে ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা পায় বাংলা সরকার। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেও, চিঠি লিখেও, তাতে সুরাহা হয়নি। বাংলার প্রতি বঞ্চনা করছএেকেন্দ্র। লাঞ্চনার শিকার বাংলা। কেন্দ্রের সরকার স্বৈরাচারী।