Fake Passport: পাসপোর্ট জালিয়াতির কিংপিন মনোজ আগেও ধরা পড়েছিল পুলিশের জালে, অভিযোগ ছিল জাল নথি তৈরির
Passport Forgery Case: পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে কিংপিন সমরেশ বিশ্বাসকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এবার পুলিশের জালে ধরা পড়ল পাসপোর্ট জালিয়াতি-কাণ্ডের আরও এক অন্যতম মাথা, মনোজ গুপ্ত।
কলকাতা : জাল নথি মামলায় আগেও গ্রেফতার হয়েছিল পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডের অন্যতম মাথা মনোজ গুপ্ত। নদিয়ার গয়েশপুর থানা তাকে গ্রেফতার করেছিল। কয়েকদিন পরে জামিন পেয়ে যায় মনোজ, বহাল তবিয়তে ফের শুরু করে কারবার। জাল নথি মামলায় একবার গ্রেফতার হওয়ার পরেও কেন নজরে রাখা হল না অভিযুক্ত মনোজের গতিবিধি, উঠছে প্রশ্ন।
জাল বার্থ সার্টিফিকেট, স্কুল সার্টিফিকেট, অ্যাডমিট কার্ড থেকে শুরু করে, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, এই সমস্ত যাবতীয় জাল নথির বিনিময়েই মিলেছে আসল ভারতীয় পাসপোর্ট। একইসঙ্গে চলত পাসপোর্ট এবং ভিসা জালিয়াতি। পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে কিংপিন সমরেশ বিশ্বাসকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এবার পুলিশের জালে ধরা পড়ল পাসপোর্ট জালিয়াতি-কাণ্ডের আরও এক অন্যতম মাথা, মনোজ গুপ্ত। পুলিশের দাবি, এই মনোজই পাসপোর্ট জালিয়াতি-কাণ্ডের কিংপিন। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে।
এই নিয়ে জাল পাসপোর্টকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছে ৭ জন। শনিবার রাতে গাইঘাটার চাঁদপাড়ার ভাড়া বাড়ি থেকে, মনোজকে গ্রেফতার করে লালবাজারের গোয়েন্দা পুলিশ। পুলিশের দাবি, ৩-৫ হাজার টাকা নিয়ে ভুয়ো নথি তৈরি করে দিত মনোজ। দীপঙ্কর, সমরেশরা গ্রেফতার হতেই গা ঢাকা দেয় সে। পুলিশ সূত্রে দাবি, বিদেশে পালানোর ছক ছিল মনোজের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই দীপঙ্কর কাজ করতেন মনোজেরই অফিসে। ট্র্যাভেল এজেন্সির ব্যবসার আড়ালে পাসপোর্ট জালিয়াতির কারবার ফেঁদেছিল বেহালার বাসিন্দা মনোজ গুপ্ত।
অন্যদিকে গ্রেফতারির পর গতকাল মনোজ গুপ্তকে আলিপুর আদালতে পেশ করে চাঞ্চল্যকর দাবি করেন সরকারি আইনজীবী। ভারতে অনুপ্রবেশকারীদের জাল নথি তৈরি করে পাসপোর্ট বানিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি, ইউরোপ যাওয়ার জন্য বাংলাদেশিদের ভিসার ব্যবস্থাও করত মনোজ। ইতিমধ্যে কয়েকজন জাল পাসপোর্ট বানিয়ে ইউরোপে চলেও গেছেন। ভ্রমণ সংস্থার আড়ালে চলত এই জাল কারবার। যদিও অভিযুক্তর আইনজীবী সওয়াল করেন, মনোজ গুপ্তর ট্যুর ও ট্রাভেলের ব্যবসা রয়েছে। যারা ঘুরতে যান তাঁদের সাহায্য করাই কাজ।
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিল মনোজ গুপ্ত, এমনই জানিয়েছেন ধৃতের মা। ছেলে যে বেআইনি কাজ করে, তা শুনেছিলেন আশপাশ থেকে। বারংবার এই কাজ ছেড়ে বাবার দোকান দেখার কথাও বলতেন ছেলেকে। তবে কোনও কথাতেই পাত্ত দেননি মনোজ গুপ্ত। বরং বন্ধুবান্ধবের নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছিল জাল নথি দিয়ে ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরির কাজ। তবে ছেলেকে বাড়িতে কোনওদিনই এসব কাজ করতে দেননি বলেই জানিয়েছেন পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে ধৃত মনোজের মা।
আরও পড়ুন- জেনে রাখুন, বর্ষবরণের রাতে এই কাজগুলো করলেই শ্রীঘরে ! জানিয়ে দিলেন কলকাতার নগরপাল
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।