Calcutta Medical College: এখনই কড়া পদক্ষেপ নয়, পরীক্ষায় গণ গরহাজিরায় সিদ্ধান্ত মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের
Medical College Exam: পরীক্ষায় MBBS পড়ুয়াদের গণ গরহাজিরায় এখনই কড়া পদক্ষেপ করছে না কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। বাকি পরীক্ষার পরই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিলেন অধ্যক্ষ!
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: এখনই কড়া পদক্ষেপ নয়। কলকাতা মেডিক্যালে (Calcutta Medical College) থার্ড সিমেস্টারের (Third Semester) পরীক্ষায় গণ গরহাজিরায় এমনই সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে আজ ও কাল পরীক্ষায় কি হাজির থাকবেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা? প্রশ্ন সংশ্লিষ্ট মহলে।
গণ গরহাজিরায় এখনই কড়া পদক্ষেপ নয়: পরীক্ষায় MBBS পড়ুয়াদের গণ গরহাজিরায় এখনই কড়া পদক্ষেপ করছে না কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। বাকি পরীক্ষার পরই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিলেন অধ্যক্ষ! সোমবার থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে শুরু হয়েছে MBBS’র থার্ড সিমেস্টারের পরীক্ষা। কিন্তু সেই পরীক্ষা গণহারে বয়কট করেছেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। সম্প্রতি করোনা থাবা বসায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। গত শুক্র ও শনিবার আক্রান্ত হন ১৪ জন পড়ুয়া। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমিতদের জন্য আলাদা ঘরে পরীক্ষার ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ। বাকি পড়ুয়াদের পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়। সেইমতো প্রয়োজনীয় কিটের ব্যবস্থাও করা হয়। পরীক্ষার খাতা, প্রশ্নপত্র নিয়ে শিক্ষকরা অপেক্ষা করলেও, পরীক্ষা দিতে আসেননি ২৫০ জন পড়ুয়ার একজনও।
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, এই ধরনের পরীক্ষাগুলিকে ইন্টারন্যাল অ্যাসেসমেন্ট বলা হয়। প্রত্যেক বছর ন্যূনতম তিনটি করে সিমেস্টারের পরীক্ষা নিতে হয় মেডিক্যাল কলেজকে। সেই তিনটি পরীক্ষায় প্রাপ্ত মোট নম্বরের গড় নম্বর অনুযায়ী পাস করলে, তবেই রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় বসার অনুমতি পান পড়ুয়ারা। কিন্তু কী কারণে একেবারে গণহারে পরীক্ষা দিতে এলেন না পড়ুয়ারা? এত সাহসই বা তাঁরা কোথা থেকে পেলেন? রাজ্যের চিকিত্সক মহলে প্রশ্ন ওঠে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বুধবার বৈঠকে বসেছিল কলেজ কাউন্সিল। সূত্রের খবর, সেখানে অনেকেই গরহাজির পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু সে পথে হাঁটেননি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ রঘুনাথ মিশ্র বলেন, “ওদের সঙ্গে আমাদের কোনও শত্রুতা বা লড়াই নেই। এটা সন্তান-অভিভাবকের সম্পর্ক। অন্যায় করলে, প্রথম দিনই ত্যয্যপুত্র করে দিতে পারি না। তাই এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি না। এখনও পরীক্ষা বাকি রয়েছে। তারপর টিচারদের সঙ্গে কথা বলব।’’ এই অবস্থায় বৃহস্পতি ও শুক্রবার ফের MBBS পড়ুয়াদের থার্ড সিমেস্টারের পরীক্ষা রয়েছে। সেখানে কি হাজির হবেন পড়ুয়ারা? সেদিকেই তাকিয়ে চিকিত্সক মহল।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee Update: 'ধান কেটে বিক্রি করে আলুর চপ কিনতাম', ছোটবেলার স্মৃতিচারণ মমতার