Sandeshkhali Incident: মীনাক্ষীর নেতৃত্বে বসিরহাটে SP অফিস অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার, অবরুদ্ধ বসিরহাট-তেঁতুলিয়া রোড
Left Student Youth Organization Rally: বসিরহাটে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে DYFI, SFI এবং মহিলা সংগঠনের এই মিছিল ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায়
বসিরহাট : সন্দেশখালি ইস্যুতে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বসিরহাটে এসপি অফিস অভিযানে বাম ছাত্র-যুবরা। অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিত তৈরি হয়। মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের কর্মীরা।
বসিরহাটে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে DYFI, SFI এবং মহিলা সংগঠনের এই মিছিল ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। আজ বিভিন্ন রোড ধরে ইছামতী সেতু পেরিয়ে সংগ্রামপুরে পুলিশ সুপারের দফতরের কাছে যখন তাঁরা এসে পৌঁছন, তখন পুলিশের তরফে ব়্যাফ মোতায়েন করা হয়। ব্যারিকেড করে আটকানোর চেষ্টা করা হয় তাঁদের। প্রথমে, বেশ কিছু বাম যুবকর্মী ব্যারিকেড টপকে ভেতরে ঢুকে যান। সেই সময় ব়্যাফ ধাওয়া করে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। ব়্যাফের কর্মীরা লাঠিচার্জ করেন।
এরপরে এগিয়ে আসেন মীনাক্ষী। তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু, তাঁকেও ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন মীনাক্ষীরা। এর জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বসিরহাট-তেঁতুলিয়া রোড। মীনাক্ষীরা দাবি জানান, এর আগের দিন তাঁরা ফিরে গিয়েছিলেন। আজ যতক্ষণ না পুলিশ তাঁদের কথা শুনছে তাঁদের বিক্ষোভ অবস্থান চলবে। পুলিশ সুপারের দফতরে তাঁদের ঢুকতে দিতে হবে, এই দাবিতে তাঁরা রাস্তায় বসে পড়েন। পুলিশের সঙ্গে যুব নেতা-কর্মীদের দফায় দফায় কথা কাটাকাটি হয়। মাইকে করে পথসভা শুরু হয়ে যায়।
মীনাক্ষী বলেন, "শাহজাহানদের শান্ত্বনা দেওয়ার জন্য গোটা সন্দেশখালিতে নিষ্ক্রিয় পুলিশ। আর পুলিশ সক্রিয় প্রতিবাদীদের মারধর করার জন্য। সেই পুলিশকে জবাবদিহি করতে হবে। তার জন্য ডেপুটেশন। এরাজ্যে পুলিশ প্রতিবাদী এবং গণতান্ত্রিক লোকজনদের সঙ্গে কো-অপারেশন করা ভুলে গেছে। ওরা শাহজাহানদরে সঙ্গে এক টেবিলে বসতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে।"
দিনকয়েক আগেই সন্দেশখালি পৌঁছে যান মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee Reaches Sandeshkhali ) । একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও, পুলিশের চোখ এড়িয়ে ঘুরপথে সন্দেশখালি ঢুকে যান DYFI-এর রাজ্য সম্পাদক। মীনাক্ষি নিজের মুখ ওড়না দিয়ে ঢাকা দিয়ে সন্দেশখালি প্রবেশ করেন। এই পরিকল্পনার কথা জানতেন মাত্র কয়েকজনই। কারণ পাছে লোক জানাজানি হয়ে সব পরিকল্পনা জলে যায় ! তাই এই গোপনীয়তা। একটা সাদা ওড়নায় মুখ ঢেকে সবার আড়াল দিয়েই সন্দেশখালিতে ঢুকে পড়েন মীনাক্ষী। গ্রামবাসীর একাংশের দাবি করেন, বহু বছর পর মীনাকীষি পা রাখাতে সন্দেশখালির মাটিতে ফের ওড়ে লাল নিশান।