Murder Case: পৈতৃক সম্পত্তি না পাওয়ার জের, বৃদ্ধ দম্পতি খুনে গ্রেফতার ২ নাতি
Murshidabad Murder Case: বহরমপুরের রাজধরপাড়ায় বৃদ্ধ দম্পতি খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হলেন তার দুই নাতি। ধৃত দুই যুবককে বৃহস্পতিবার সিজিএম আদালতে তুলে পুলিশ হেফাজতে নিতে চাই।
রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: বহরমপুরের রাজধরপাড়ায় বৃদ্ধ দম্পতি খুনের (Murder Case) ঘটনায় গ্রেপ্তার হলেন তার দুই নাতি। ধৃতরা হলেন মোজাম্মেল সেখ (২১) ও সোহেল রানা (২০) । তাঁরা মৃত আব্দুল রহিদ সেখের দুই ছেলের ছেলে। পুলিশি জেরায়, তাঁরা তাঁদের অপরাধ স্বীকার করেছেন বলে দাবি পুলিশের। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা দাদুর কাছে থেকে পৈতৃক সম্পত্তি না পাওয়ার জন্যই এই খুন করেছে। ধৃত দুই যুবককে বৃহস্পতিবার সিজিএম আদালতে তুলে পুলিশ হেফাজতে নিতে চাই।
অগাস্ট মাসে, টাকা নিয়ে বচসা, মদ্যপ অবস্থায় নিজের মাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে ওঠে। তারপর রাতভর মায়ের মৃতদেহ আগলে একই ঘরে রাত্রিবাস খুনে অভিযুক্ত ছেলের।ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ডুয়ার্সের বানারহাট থানার তেলিপাড়া চা বাগান এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার গভীর রাতে মৃত মহিলার নাম বাবলী ওরাও (৬২)। তেলিপাড়া চা বাগানের কুমা লাইনের বাসিন্দা। ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে বানারহাট থানার পুলিশ।তবে এই প্রথমবার নয় ভয়াবহ খুনের আরও একাধিক উদাহরণ আছে। জন্মদাতাকে খুন করে সেই ঘরেই রাত্রিবাসের ঘটনা খাস কলকাতাতেও ।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৫ জুলাই বাড়িতেই ছেলের হাতে খুন হন ঠাকুরপুকুরের পরেশনাথ-ঊষারানি সরকার। বাড়িতেই মাথা কেটে পরেশনাথ-ঊষারানি সরকারকে খুনের অভিযোগ ওঠে ছেলের বিরুদ্ধে। তদন্তে জানা যায়, বাড়ির দোতলায় বাবা এবং একতলায় মাকে গলা কেটে খুন করে ছেলে। এখানেই শেষ নয়, নৃশংসভাবে খুনের পরেও দু’জনের মৃতদেহ একতলায় আনার পরে পাশের ঘরে রাত কাটায় ছেলে। এদিকে পরের দিন মিস্ত্রী ডেকে বাড়ির মধ্যে চৌবাচ্চার গর্ত খোঁড়ার সময় সন্দেহ হয় আত্মীয়দের। এরপর সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেয় আত্মীয়রাই। খবর পুলিশের কাছে পৌঁছতেই গ্রেফতার করা হয় ছেলে শোভন সরকারকে। ইতিমধ্যেই কেটে গিয়েছে ৯ বছর। সম্প্রতি ঠাকুরপুকুরে বাবা-মাকে নৃশংসভাবে খুনে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে ছেলে শোভন সরকার। অভিযুক্ত ছেলের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেছে আদালত।
আরও পড়ুন,শোভনদেবের 'ভাইরাল' বক্তব্যে 'পচা আলুর' কনসেপ্ট বোঝালেন রাহুল-সুজন
প্রসঙ্গত, রাজ্যে একের পর এক অপরাধের ঘটনায় গতবছরই তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বাংলার আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সরব হয়েছিল বিরোধী দলের নেতারাও। তারপর রাজ্যের অপরাধ দমনে রাজ্য পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার থেকে, ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেফতার করলেও, অপরাধের ঘটনা ফের সামনে উঠে আসছে।