Murshidabad News: মহিলাকে ভারতরত্ন পাইয়ে দেওয়ার নামে 'প্রতারণা', গ্রেফতার শিক্ষক !
Murshidabad Teacher Arrested On Fraud Case: চাকরি থেকে ভারতরত্ন-সহ একাধিক পুরস্কার পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ, সুতিতে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার স্কুল শিক্ষক

মুর্শিদাবাদ: চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগে ইতিমধ্য়েই একাধিক গুণধর জেলে। নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে শাসকদলের অনেক শীর্ষ নের্তৃত্বই এখন জেলে ঘানি টানছেন। এবার এক মহিলার অভিযোগে প্রাইমারি স্কুলের এক শিক্ষককে গ্রেফতার করল সুতি থানার পুলিশ।
রাজ্যে প্রতারণার ঘটনার উদাহরণ ভুরিভুরি। চাকরির নামে প্রতারণার সংখ্যা গুণে শেষ করা যাবে না। তবে ভারতরত্ন পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণ প্রায় বিরল বললেই চলে। জানা গিয়েছে, সুতি থানার শেখপুরা প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হাসানুজ্জামান ভারতরত্ন সহ একাধিক পুরস্কার পাইয়ে দেওয়ার নাম করে জাইরুল বিবির কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নেয়। শুধু তাই নয় চাকরি পাইয়ে দাও নাম করেও টাকা আদায় করেন ঐ শিক্ষক, জাইরুল বিবির অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাইমারি স্কুলের ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে থানার পুলিশ, অভিযুক্ত শিক্ষককে পাঠানো হয় জঙ্গিপুর আদালতে যদিও পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে সুতি থানার পুলিশ।
সম্প্রতি ব্য়াঙ্কের লকার থেকে গয়না চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন ব্য়াঙ্কের লকার ইনচার্জ। গ্রেফতার হয়েছিলেন তাঁর দাদা। তল্লাশি অভিযানে উদ্ধার হয়েছিল প্রচুর সোনার গয়না এবং লক্ষ লক্ষ টাকা। অভিযুক্তদের পুলিশ হেফাজত হয়। ব্য়াঙ্কের লকার ইনচার্জের বিরুদ্ধেই উঠেছিল লক্ষ লক্ষ টাকার গয়না চুরির অভিযোগ! গ্রেফতার হন একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের লকার ইন চার্জ । গ্রেফতার হন তাঁর দাদাও। পুলিশ সূত্রে খবর,তাঁদের কসবার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ৩০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি, লেকটাউন ও কসবার দুটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল ৫৬ লক্ষ টাকার সোনার গয়না। বাজেয়াপ্ত করা হয় দামি ফোন, ল্য়াপটপ, গাড়ি-সহ ব্য়াঙ্কের বিভিন্ন নথি।
পুলিশ সূত্রে খবর, ১৪ ডিসেম্বর টালিগঞ্জের এক বাসিন্দা একটি ব্য়াঙ্কের পার্কস্ট্রিট শাখার লকারে রাখা ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার সোনার গয়না উধাও হওয়ার অভিযোগ করেছিলেন।অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের ব্য়াঙ্ক প্রতারণা দমন শাখা।তদন্তে নেমে জানা যায়, ২০২১ সাল থেকে ওই ব্য়াঙ্কের লকার ইনচার্জ মৌমিতা। এরপর ব্য়াঙ্কের গ্রাহকদের জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রে সন্দেহের তালিকায় এসেছিলেন তিনি। তাঁর গতিবিধির ওপর নজর রাখতে শুরু করেচিল পুলিশ। স্ক্য়ানারে আসেন তাঁর দাদা মিঠুনও।
পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছিল একের পর এক চাঞ্চল্য়কর তথ্য়। জানা যায়, মিঠুনের নামে খোলা একটি কোম্পানির ব্য়াঙ্ক অ্য়াকাউন্টে গত তিনমাসে ৫০ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে, একাধিক সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে অ্য়কাউন্ট থেকে, এমনকী সম্প্রতি ৪২ লক্ষ টাকা দিয়ে ২ গাড়ি কিনেছিলেন দুই ভাই বোন। কিন্তু কীভাবে গ্রাহকদের ফাঁদে ফেলা হত?
অভিযোগ, গ্রাহকদের প্রথমে বলা হত,লকারের চাবিতে সমস্য়া রয়েছে। তাই সাবধানতার জন্য় তাঁরা যেন গয়না অন্য় লকারে রাখেন। এরপর গ্রাহকরা অন্য় লকারে গয়না রাখার জন্য় চাবি দিলে, সেই চাবি নকল করতেন মৌমিতা। ২ দিন বাদে লকার ঠিক হয়ে গেছে বলে পুরনো লকারে সোনা রাখার কথা বলতেন তিনি। আর তারপর ব্য়াঙ্কের লকার-ইনচার্জ মৌমিতার দাদা সেই গয়নাগুলি বিক্রি করে দিতেন !






















