Salar : সালারে বিধায়ক ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার দলেরই ৩
Murshidabad TMC : বাজারে ঢুকতেই তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে ঘিরে ধরেন কয়েকজন। মুহূর্তের মধ্যেই শুরু হয় মারধর
সালার : মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সালারে (Salar) বিধায়ক ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার দলের ব্লক সহ সভাপতি-সহ ৩ জন। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, অস্ত্র আইন-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের সালারে তৃণমূল বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির তরজা তুঙ্গে উঠেছে। এর মধ্যেই গতকাল প্রকাশ্যে মারধর করা হল শাসক বিধায়ক ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে। দলেরই ব্লক সভাপতির অনুগামীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছেন বিধায়ক। গ্রাম্য বিবাদ দাবি করে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি।
দলীয় ‘দ্বন্দ্বে’ আক্রান্ত-
বাজারে ঢুকতেই তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে ঘিরে ধরেন কয়েকজন। মুহূর্তের মধ্যেই শুরু হয় মারধর। ধাক্কা দেওয়া থেকে কিল, চড়, ঘুষি - কিচ্ছু বাদ যায়নি ! শনিবার মুর্শিদাবাদের সালারের কাগ্রাম বাজারে প্রকাশ্যে মারধর করা হয় ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের ঘনিষ্ঠ স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি তাপস রায়কে। সেই ঘটনায় উঠে এসেছে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদের অভিযোগ।
কাঠগড়ায় সালার ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের অনুগামীরা ! ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার। স্থানীয় সূত্রে খবর, জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে শান্তি বৈঠক ঘিরে বিধায়ক ঘনিষ্ঠ অঞ্চল সভাপতি ও ব্লক সভাপতিদের অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। অভিযোগ, সেই ঘটনার জেরেই গতকাল সকালে বাজারে যেতেই তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন ব্লক সভাপতির অনুগামীরা।
হামলার পর তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে উদ্ধার করে সালার থানার পুলিশ। প্রাথমিক চিকিত্সার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
যদিও ব্লক সভাপতি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী শাওনি সিংহ রায় জানিয়েছেন, ব্লক সহ সভাপতির বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নিয়ে দল পরে সিদ্ধান্ত নেবে।
সম্প্রতি বিজয়া সম্মিলনীতে নাম না করে দলেরই একাংশকে নিশানা করেন তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। ভরতপুর (Bharatpur) বিধানসভা কেন্দ্রে দলের খোলনলচে পাল্টে ফেলার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সালারে ওই অনুষ্ঠানে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, ২০১১-য় জিতে আসা ৭৫ শতাংশ পুরনো নেতৃত্বকে সরিয়ে দেব। পুরনো ২৫ শতাংশকে রেখে ৭৫ শতাংশ নতুন মুখ আনব। সেই পথে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে ফল ভুগতে হবে। কিন্তু, বিধায়কের নিশানায় কারা ? তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি তিনি। রাজ্য নেতৃত্বের ঘাড়েই দায় ঠেলে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন ; তৃণমূলের কোন্দলে রণক্ষেত্র মুর্শিদাবাদ, পার্টি অফিসের সামনে ভাঙচুর, রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ