Murshidabad News: প্রতিবেশীকে ধর্ষণের অভিযোগ, অস্বস্তি ঢাকতে তড়িঘড়ি পদক্ষেপ, নেতাকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল
TMC Leader Suspended: অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম বাবর আলি শেখ। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভরতপুর থেকে জেলা পরিষদের আসনে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হন তিনি
রাজীব চৌধুরী, বহরমপুর: মুর্শিদাবাদে প্রতিবেশীকে ধর্ষণের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সদস্য। অভিযোগ সামনে আসার পরই তাঁকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে জোড়াফুল শিবির (TMC Leader Suspended)। অস্বস্তি ঢাকতে গতকাল সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হয়। সেখানেই অভিযুক্তকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করা হয়। (Murshidabad News)
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম বাবর আলি শেখ। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভরতপুর থেকে জেলা পরিষদের আসনে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হন তিনি। সম্প্রতি কান্দি থানায় ওই তৃণমূল নেতার প্রতিবেশী অভিযোগ করেন, প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন বাবর। ধর্ষণের অভিযোগ যদিও অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। কিন্তু অভিযোগ সামনে আসতেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে দল।
সোমবার অভিযুক্ত নেতাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বরং তিনি দলীয় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, "সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন অভিযোগ। আমার বাড়ির পাশেই বাড়ি ওই মহিলার। তাঁর বাচ্চারাও আমাদের বাড়িতে আসত। তার মানে এই নয় যে আমি তাঁকে ধর্ষণ বা জোরপূর্বক কিছু করেছি। এটা চক্রান্ত। রাজনৈতিক ভাবে ফাঁসানো হচ্ছে আমাকে।"
আরও পড়ুন: Howrah News: সলপে পান সুপারি বোঝাই লরি উল্টে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, মৃত ১, আহত ৭
যদিও বাবরকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করতে গিয়ে তৃণমূলের বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শাওনী সিংহ রায় বলেন, "তিনি যে অন্যায় করেছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে এফআই আর হয়েছে। দল এটাকে কোনও ভাবেই সমর্থন করে না। এটা তাঁর ব্যক্তিগত ভাবে। রাজ্যের নির্দেশানুসারে, দলের পক্ষ থেকে আজ থেকে তাঁকে সাসপেন্ড করছি। সেখানকার ব্লক সভাপতি এবং দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, দলের কোনও কর্মসূচিতে তিনি যেন অংশগ্রহণ না করেন এবং তাঁর মাধ্যমে দলের কোনও কাজ হবে না।"
এই ঘটনা নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই টানাপোড়েন চলছিল। সেই নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে জোড়াফুল শিবির। দলীয় স্তরেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তার পর সোমবার বাবরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। কোনও রকম সংযোগ রাখা যাবে না বলেও জানিয়ে দেন জেলা নেতৃত্ব। তবে শুধু বাবরই নন, স্থানীয়রা যদিও এই ঘটনায় তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছায়াও দেখছেন।