Baharampur : বহরমপুরে রিভলভারের বাঁট দিয়ে তৃণমূল কর্মীর মাথায় আঘাতের অভিযোগ ! কাঠগড়ায় কংগ্রেস
TMC : গতকাল গভীর রাতে আচমকা তৃণমূল কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে ১০ থেকে ১৫ জন দুষ্কৃতী
রাজীব চৌধুরী, বহরমপুর : রিভলভারের বাঁট দিয়ে তৃণমূল কর্মীর (TMC Worker) মাথায় আঘাতের অভিযোগ। বহরমপুরে (Baharampur) তৃণমূলের পার্টি অফিসে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় অভিযোগের তির কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ভাঙচুর করা হয় পার্টি অফিসের আসবাবপত্র। বহরমপুর পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কুঞ্জঘাটার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়।
তৃণমূল কার্যালয়ে দুষ্কৃতী-
স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল গভীর রাতে আচমকা তৃণমূল কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে ১০ থেকে ১৫ জন দুষ্কৃতী। অভিযোগ, তার পরেই তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে গালাগালি শুরু করে। প্রতিবাদ করতেই মারধর করা হয়। এরপরেই রিভলভারের বাঁট দিয়ে বিশ্বজিৎ দাস নামে এক তৃণমূল কর্মীকে আঘাত করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর মাথা ফেটে যায়।
মারধরে জখম হয়েছে ৫ জন তৃণমূল কর্মী। গুরুতর জখম অবস্থায় বিশ্বজিৎ দাসকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনায় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তৃণমূলের। পাল্টা তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলকে দায়ী করেছে কংগ্রেস। ১০ জনের নামে অভিযোগ হয়েছে।
এনিয়ে বহরমপুর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের শহর সভাপতি পাপাই ঘোষ বলেন, কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা আসে। মারধর করে। এসে গালাগাল দেয়। আমরা কিছু বলতেই ওরা মারধর করতে শুরু করে।
যদিও বহরমপুর পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা বিরোধী দলনেতা হিরু হালদার বলেন, আমাদের কেউ এতে যুক্ত নয়। ওদের গোষ্ঠীকোন্দল।
প্রসঙ্গত, দিন দুয়েক আগেই মুর্শিদাবাদের, কান্দি থেকে সাঁটুই, প্রায় ১৯ কিলোমিটার পাকা রাস্তা তৈরির দাবিতে মিছিলে হাঁটেন অধীর চৌধুরী। প্রয়োজনে, সাংসদ তহবিল থেকে টাকা দেব বলে মন্তব্য করেন বহরমপুরের সাংসদ। এনিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেয় তৃণমূল।
২০১২-১৩ অর্থবর্ষে, কান্দি মাস্টার প্ল্যানের জন্য ৪৩৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন তত্কালীন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। মাস্টার প্ল্যানের মধ্যে কুঁয়ে, বাবলা ও দ্বারকা নদীর ওপর তৈরি হয় ৩ টি ব্রিজ। কিন্তু তিনটে ব্রিজের সংযোগকারী রাস্তার ভয়ঙ্কর খারাপ দশা। কান্দি থেকে সাঁটুই-এর মাঝে, এই মেঠো পথে একটু বৃষ্টি হলেই এক হাঁটু কাদা হয়ে যায়। খারাপ রাস্তায় বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, পাকা রাস্তা না থাকার কারণে, কান্দির বাসিন্দাদের, হয়, ২৫ কিলোমিটার দূরে, সালারে গিয়ে ট্রেন ধরতে হয়। নয়তো, যেতে হয়, প্রায় ৪৪ কিলোমিটার দূরের সাঁইথিয়া স্টেশনে। এই রাস্তা পাকা হয়ে গেলে, মাত্র ১৯ কিলোমিটার দূরে, সাঁপুইয়ে গিয়ে ট্রেন ধরতে পারবেন বাসিন্দারা।
কংগ্রেস সাংসদের দাবি, এই রাস্তা তৈরি হয়ে গেলে, এলাকার অর্থনৈতিক মানচিত্রের আমূল পরিবর্তন হবে।
আরও পড়ুন ; তৃণমূলের কোন্দলে রণক্ষেত্র মুর্শিদাবাদ, পার্টি অফিসের সামনে ভাঙচুর, রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ