Enforcement Drectorate: বাংলাদেশ থেকে রাজ্যে টাকা পাচারের অভিযোগ, তল্লাশি অভিযান ইডির
অভিযোগ, ৬০টি ভুয়ো কোম্পানির নামে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা তোলা হয়। তারপর তা হাওয়ালা রুটে পাচার করা হয় এ রাজ্যে। সেই খবর পেয়েই তল্লাশি অভিযানে নামে ইডি।
কলকাতা: বাংলাদেশ থেকে রাজ্যে টাকা পাচারের অভিযোগ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেই টাকার খোঁজে তল্লাশি অভিযানে নামল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট । উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে কয়েকটি বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশি চলে দমদম ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েকটি ঠিকানাতেও। অভিযোগ, ৬০টি ভুয়ো কোম্পানির নামে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা তোলা হয়। তারপর তা হাওয়ালা রুটে পাচার করা হয় এ রাজ্যে। সেই খবর পেয়েই তল্লাশি অভিযানে নামে ইডি।
হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ অতীতে ভুরিভুরি উঠেছে! এবার বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে টাকা পাচারের অভিযোগ উঠল বেআইনি টাকার হদিশ পেতে শুক্রবার । উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে ৩টি, দমদমের একটি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২টি জায়গা মিলিয়ে মোট ৯ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ED।
এদিন সকাল থেকে ED’র প্রায় ৬০-৭০ জন আধিকারিক একাধিক দলে ভাগ হয়ে তল্লাশি অভিযান চালান। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর,এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ ফিনানশিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে দেখে, সে দেশের একাধিক ব্যাঙ্ক থেকে ৫০টির বেশি কোম্পানির নাম করে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে।
তদন্তে নেমে দেখা যায়, ঋণ নেওয়া টাকার একটা বড় অংশ হাওয়ালার মাধ্যমে পাচার হয়েছে বাংলা-সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। বাংলাদেশ সরকারের থেকে এই তথ্য পাওয়ার পরেই সক্রিয় হয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এদিন উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের বাসিন্দা সুকুমার মৃধার এই বাগান বাড়িতে হানা দেন ED’র আধিকারিকরা।
প্রায় ৪ বিঘা জমির ওপর তৈরি এই বাগানবাড়িতে কেউ ছিল না! তদন্তকারীরা বাড়ির মালিকের এক আত্মীয়ের থেকে চাবি এনে বাড়িতে ঢোকেন। তারপর শুরু হয় তল্লাশি। ED সূত্রে দাবি, বাংলাদেশের তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, এই আন্তর্জাতিক টাকা পাচার চক্রের কিং পিন পি কে হালদার নামে সেই দেশেরই এক বাসিন্দা। তাঁর খোজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। কিন্তু হাওয়ালার মাধ্যমে এদেশে ঢোকা টাকা গেল কোথায়? এর নেপথ্যে কি কোনও প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে? বেআইনি টাকার অংশ এই প্রভাবশালীদের হাতে যায়নি তো? এখন এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা।