Nababarsha 2025: নববর্ষের প্রথম দিনেই ভক্তদের ভিড় তারাপীঠে !
Nababarsha 2025 Tarapith Crowd: বাংলা বছরের প্রথম দিনেই তারাপীঠে ভক্তদের ভিড় !

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: আজ পয়লা বৈশাখ। বাংলা বছরের প্রথম দিনেই তারাপীঠে ভক্তদের ভিড়।ব্যবসায়ীরা নতুন খাতায় পুজো দিয়ে শুরু করে ব্যবসা।সারা বছর ভালো কাটুক কামনায় মা তারা পুজো দেয় ভক্তরা। একই ভাবে ভক্তদের ভিড় কংকালিতলা এবং লাভপুরের ফুল্লরা মন্দিরে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষ ভিড় জমিয়েছেন মন্দিরে।
আরও পড়ুন, নববর্ষের প্রথম দিনেই এল খারাপ খবর ! ঝড়-বৃষ্টিতে দুই মহিলার মৃত্যু পশ্চিম মেদিনীপুরে..
১৪৩১-কে বিদায় জানিয়ে বাংলা ক্যালেন্ডারে নতুন বছর ১৪৩২। নতুন পোশাক, গঙ্গাস্নান, দোকানে দোকানে হালখাতার আয়োজন করা হয়েছে। সঙ্গে শুভেচ্ছা-মিষ্টিমুখ-গান আর জমজমাট আড্ডা। নববর্ষের আবাহনে মেতে উঠেছে গোটা বাংলা। প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া নতুন বছরের আনন্দ। কালীঘাট থেকে দক্ষিণেশ্বর, লেক কালীবাড়ি থেকে তারাপীঠ, সকাল থেকে মন্দিরে মন্দিরে পুজো দেওয়ার লম্বা লাইন।
সারা বছর ভাল কাটুক। এই প্রার্থনা নিয়েই ভোর থেকে ভিড় উপচে পড়েছে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে। সকাল থেকেই পুজো দেওয়ার লম্বা লাইন পুণ্যার্থীদের। দক্ষিণেশ্বরেও হালখাতার পুজো করাতে ব্যবসায়ীরা ভিড় করেছেন। নতুন বছরে নতুন রূপে কালীঘাট মন্দির। গ্রানাইট ও মার্বেলে মোড়া মন্দির চত্বর। দক্ষিণেশ্বরের ধাঁচে কালীঘাটে তৈরি হয়েছে রাজ্যের দীর্ঘতম স্কাইওয়াক। গতকাল এর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। স্কাইওয়াকে রয়েছে ২টি এস্কালেটর, ৩টি সিঁড়ি ও ৩টি লিফট। স্কাইওয়াকের একটি মুখ কালীঘাটের মূল মন্দিরের দিকে।
অন্যদিকটি নেমেছে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোডের ওপর। আজ থেকেই চালু হয়েছে স্কাইওয়াক। নতুন করে তৈরি হয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পাঁচতলা হকার্স কর্নার। পয়লা বৈশাখে হালখাতা পুজোর জন্য কালীঘাটে ভিড় করেছেন ব্যবসায়ীরা। লাল মলাট দেওয়া খাতার পুজো করে, প্রথম পাতায় স্বস্তিক এঁকে শুরু হয় নতুন বছরের খাতা লেখা। সারা বছরের জন্য মঙ্গল কামনায় দর্শনার্থীদেরও ঢল নেমেছে। সকাল সকাল পুজোর ডালি নিয়ে হাজির হয়েছেন পুণ্যার্থীরা।
প্রসঙ্গত, নববর্ষ পালনেও রাজনৈতিক তরজা। পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাল্টা আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা। মুখ্যমন্ত্রীর পোস্ট, আমি বাংলায় গান গাই...বাংলা দিবসে সকল নাগরিককে জানাই অভিনন্দন। শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, রোম যখন পুড়ছিল, সম্রাট নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন। রাজ্যে যখন হিংসার আগুন জ্বলছে, আপনিও গান গাইবেন, সেটাই স্বাভাবিক। তবে গানের সুরটা বেসুরো হয়ে গেল, পাল্টা পোস্ট করেন শুভেন্দু অধিকারী।






















