Nadia: গয়েশপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল, শহর সভাপতি মরণ দে-র নামে পড়ল বিস্ফোরক পোস্টার
Nadia News: গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ অস্বীকার কাউন্সিলর কাঞ্চন ঘোষের। 'আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তা ভিত্তিহীন', পাল্টা দাবি করেছেন শহর সভাপতি।

নদিয়া: তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল (TMC Inner Clash) এই রাজ্যে নতুন নয়। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও শাসক দলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের খবর প্রকাশ্যে আসে। এবার সেই ছবিও ধরা পড়ল নদিয়ার গয়েশপুরে (Gayeshpur)। সেখানে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে চরমে পৌঁছল। গয়েশপুরে শহর সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। রীতিমত রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গয়েশপুরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ এতটাই বেড়েছে যে সেখানকার শহর সভাপতি মরণ দে-র বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে, 'মরণ দে-র মরণ হোক, সাধারণ মানুষের জয় হোক'। তৃণমূল সমর্থকদের একাংশ বলছেন, ''গত ৭ বছর ধরে সরকারি জমি দখল করে বাস করছে প্রায় ৩০০ পরিবার। শহর সভাপতি মরণ দে নিজেই তাঁদের সেখানে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন সেই জমি খালি করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শহর সভাপতি।'
যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন শহর সভাপতি মরণ দে। গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ অস্বীকার কাউন্সিলর কাঞ্চন ঘোষের। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তা ভিত্তিহীন, পাল্টা দাবি করেছেন শহর সভাপতি। এদিকে, এই ঘটনায় রাস্তাজুড়ে দীর্ঘক্ষণ উত্তেজনামূলক পরিস্থিতি থাকে। দু তরফের থেকেই একে অপরের দিকে আঙুল তোলা শুরু হয়। SIR ইস্যু নিয়েই তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর মধ্যে মতপার্থক্য দেখা যায়।
উল্লেখ্য, পুজোর পরপরই দলে গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে মুখ খুলেছিলেন সৌগত রায়। তিনি বলেছিলেন, ''দলের মধ্যে মতভেদ থাকতেই পারে। কিন্তু মতভেদ প্রকাশ করতে গিয়ে দলকে দুর্বল করলে চলবে না। সামনে নির্বাচন।নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য কাজ করে যেতে হবে।'' দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে মুখ খুলেছিলেন রাজারহাট-নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্য়ায়। বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে গিয়ে বলেছিলেন, দলে যদি শৃঙ্খলা না থাকে, তাহলে সেই দল এগোতে পারে না। দলে বন্ধুত্বপূর্ণ ঝগড়া হতেই পারে। কিন্তু বিজেপি বা বিরোধীদের সঙ্গে ঝগড়া কখনও বন্ধুত্বপূর্ণ হতে পারে না। দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকতেই পারে, সেটা বাইরে প্রকাশ করা ঠিক নয়। বিজয় সম্মিলনীতে দলীয় কর্মীদের বার্তা দেন রাজারহাট-নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়। ভাইরাল হয়েছিল সেই ভিডিও। প্রচারের আলোয় আসার জন্য এই ধরনের বিবৃতি, পশ্চিমবঙ্গবাসীর কাছে এসবের কোনও প্রভাব নেই, প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।






















