Nadia News: ভাঙল অচলায়তন, দূর হল ভেদাভেদ; পুজো দেওয়ার অধিকার পেল নদিয়ার দেড়শো পরিবার
Calcutta High Court: আদালতের হস্তক্ষেপে ভাঙল প্রায় ৩০০ বছরের অচলায়তন। নদিয়ার বৈরামপুরে দূর হল অস্পৃশ্যতা ও জাত পাতের বৈষম্য।

প্রদ্যোৎ সরকার, নদিয়া: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশের পর নড়েচড়ে বসল পুলিশ। আলোচনায় দূর হল জাত-পাতের ভেদাভেদ। প্রায় ৩০০ বছর পর শিব মন্দিরে পুজো দেওয়ার অধিকার পেলেন নদিয়ার (Nadia News) বৈরামপুরের প্রায় দেড়শোটি পরিবার। কিন্তু অস্পৃশ্যতার এই অচলায়তন ভাঙতে কেন এত সময় লাগল প্রশাসনের? প্রশ্ন উঠছে।
আদালতের হস্তক্ষেপে ভাঙল প্রায় ৩০০ বছরের অচলায়তন। নদিয়ার বৈরামপুরে দূর হল অস্পৃশ্যতা ও জাত পাতের বৈষম্য। প্রায় তিন শতক পরে শিব মন্দিরে পুজো দেওয়ার অধিকার পেলেন কালীগঞ্জের প্রায় দেড়শটি তফশিলি পরিবার। বেজে উঠল ঢাক, উলুধ্বনি দিলেন মহিলারা। দীর্ঘদিন বঞ্চিত থাকার পর পুলিশের সহযোগিতায় শিব মন্দিরে পুজো দিলেন তাঁরা। অভিযোগ, প্রায় ৩০০ বছর ধরে নদিয়ার বৈরামপুরের শিব মন্দিরে পুজো দিতে দেওয়া হয় না একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের প্রায় দেড়শোটি পরিবারকে। শিবপুজো এবং গাজনে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রেও জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা। গাজনের সন্ন্যাসী হওয়ার ক্ষেত্রেও গ্রামে সালিশি সভা বসিয়ে ভয় দেখানো হয়।
অভিযোগ নিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। অভিযোগ শুনে চরম বিরক্তি প্রকাশ করে বুধবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, "এই সমস্যা তো বাংলায় ছিল না। কেন তাঁরা উৎসবে যোগ দিতে পারবেন না? কীসের ইগো? পুলিশ কী করছে? বলতে বাধ্য হচ্ছি, এটা পুলিশের অক্ষমতা। ওসি নয়, কোনও সিনিয়র অফিসারকে দায়িত্ব নিতে হবে। পিছনে যদি অন্য কোনও কারণ থাকে সেটাও খুঁজে দেখা পুলিশের কাজ। অফিসে বসে বসে রিপোর্ট তৈরি করছে। আবার বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে হবে।''
আদালতের এই নির্দেশের পরই নড়চড়ে বসে পুলিশ। শুক্রবার পুলিশের উপস্থিতিতে মন্দিরে পুজো দেন তফশিলি জাতিভুক্ত মানুষ। বৈরামপুরের বাসিন্দা সুচিত্রা দাস বলেন, "আজকে দারুণ লাগছে, খুব ভাল লাগছে। মানে, খুশিতে জায়গা নেই। ঠাকুরের কাছে বলে এলাম, মহাদেবের কাছে বলে এলাম, সমগ্র মানুষকে ভাল রেখো।'' এবিষয়ে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) উত্তম ঘোষ বলেন, "মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে গতকাল আমাদের একটা "মিটিং হয়েছিল, দেবগ্রাম আরওপিতে। সেখানেই আমরা সদর্থক বার্তা পেয়েছিলাম। আজকে দাসপাড়ার সমস্ত মানুষজন এসেছেন, তাঁরা পুজো দিয়েছেন শান্তিপূর্ণভাবে। আশাকরি, পরবর্তীকালে কোনও সমস্যা হবে না।''
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
