Ranaghat News: পৌরসভা নির্বাচনে ভরাডুবি, নৈতিক দায় নিয়ে পদ ছাড়লেন রানাঘাটের দুই বিজেপি নেতা
Ranaghat News: রানাঘাট পৌরসভায় মোট ২০টি ওয়ার্ড রয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র ৭ নম্বর ওয়ার্ডেই জয়লাভ করেছে বিজেপি।
সুজিত মণ্ডল, রানাঘাট: ভরাডুবি হয়েছে পৌরসভা নির্বাচনে (WB Municipal Elections 2022)। তার দায় স্বীকার করে পদ থেকে অব্যাহতি চাইলেন রানাঘাটের (Ranaghat) দুই বিজেপি নেতা। সেই নিয়ে দলের অন্দরে যখন তোলপাড়, সেই সময় গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল (TMC)। এ রাজ্যে বিজেপি (BKP)যেমন হায়ায় এসেছিল, তেমনই হাওয়ায় মিশে যাবে বলে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তারা।
বিজেপি-র রানাঘাট শহর (Nadia News) মণ্ডল সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় প্রামাণিক এবং সাধারণ সম্পাদক বিশ্বরঞ্জন পাল পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে চিঠি দিয়েছেন দলকে। রানাঘাট পৌরসভায় মোট ২০টি ওয়ার্ড রয়েছে। এর মধ্যে পৌরসভা নির্বাচনে শুধুমাত্র ৭ নম্বর ওয়ার্ডেই জয়লাভ করেছেন বিজেপি প্রার্থী কামনাশীস চট্টোপাধ্যায়। বাকি ১৯টি ওয়ার্ডই তৃণমূলের দখলে গিয়েছে।
অথচ গত ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনেই রানাঘাট পৌরসভায় (Ranaghat Municipal Corporation) প্রায় আড়াই হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি।২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও রানাঘাট পৌরসভার একটি ওয়ার্ড বাদ দিয়ে বাকি ১৯টিতে এগিয়ে ছিল গেরুয়া শিবির। ২০১৫ সালের পৌরসভা নির্বাচনের সময় ১৯টি ওয়ার্ডের প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি। তার মধ্যে ৭টি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে ছিল তারা।
কিন্তু এ বারের পৌরসভার নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে শহরের ১২টি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি। ফলে আশানুরূপ ফল না হওয়ায় সাংগঠনিক ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন মৃত্যুঞ্জয় এবং বিশ্বরঞ্জন।
আরও পড়ুন: Anish Khan Death: আনিস খান মামলায় ২০ পাতার রিপোর্ট পেশ SIT-এর| Bangla News
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের ১৫ জানুয়ারি বিজেপির রানাঘাট শহর মণ্ডল সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় মৃত্যুঞ্জয়কে। ওই বছর বিধানসভা নির্বাচন, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০২২ সালের পৌরসভা নির্বাচনে দলের হয়ে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রানাঘাট শহর লাগোয়া গ্রামীণ এলাকাতেও দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে।
তবে পদ ছাড়ার কারণ জানতে চাইলে মৃত্যুঞ্জয় বলেন, ‘‘ দলের খারাপ ফল হওয়ায় নৈতিক দায় আমার। আমি চাই নতুন প্রজন্মের কেউ এই দায়িত্ব নিয়ে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করুক। তার পাশে থেকে আমি সবরকম সহযোগিতা করব। কিন্তু আমি আর পদে থাকতে চাই না। যে কারণে সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী দলের জেলা সভাপতির কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছি।’’
এ ব্যাপারে মতামত চাইলে বিজেপি নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি স্বপনকুমার দাম বলেন, ‘‘প্রত্যাশিত ফল হয়নি। দুঃখজনক ফলাফল হয়েছে। যে কারণে নৈতিক দায়ভার নিয়ে ওই টাউন সভাপতি দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। আমরা সকলেই চেয়েছিলাম, রানাঘাট পৌরসভা দখল করতে। রাজ্যের মধ্যে কোথাও না হোক, এই পৌরসভায় জয়ের বিষয়ে সুনিশ্চিত ছিলাম। সেই জায়গায় এই ফলাফল হতাশাজনক। নৈতিক দায় থেকেই উনি পদত্যাগ করেছেন।’’
তৃণমূলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার কো-অর্ডিনেটর দীপক বসু যদিও এ নিয়ে বিজেপি-কে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, ‘‘এখন মণ্ডল সভাপতি ইস্তফা চেয়ে চিঠি দিযচ্ছেন। কয়েক দিন পর গ্রামের নেতারাও পদত্যাগ করবেন। ওদের দলটা হাওয়ায় এসেছিল। আবার হাওয়াতেই মিলিয়ে যাবে। আগামী দিনে ওদের আর বাতি জ্বালানোর লোক থাকবে না।’’