Shantipur: শান্তিপুরে উপ নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত তৃণমূল-বিজেপি ২ পক্ষই
Shantipur: প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হলেও, উপনির্বাচন ঘোষণা হওয়া মাত্র প্রচারে নেমে পড়ল তৃণমূল। অন্যদিকে দলের রণকৌশল ঠিক করতে সাংগঠনিক বৈঠক করল বিজেপি।
সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই শান্তিপুরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তৎপরতা। দলীয় বৈঠক, দেওয়াল লিখন কর্মসূচি শুরু করেছে তৃণমূল। পথে না নামলেও, নির্বাচনের রণকৌশল নিয়ে আলোচনায় বসেছে বিজেপি। উৎসবের মধ্যেই ভোট নদিয়ার শান্তিপুরে। একদিকে তৃণমূলের দেওয়াল লিখন তো অন্যদিকে সাংগঠনিক বৈঠকে বিজেপি। প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হলেও, উপনির্বাচন ঘোষণা হওয়া মাত্র প্রচারে নেমে পড়ল তৃণমূল। অন্যদিকে দলের রণকৌশল ঠিক করতে সাংগঠনিক বৈঠক করল বিজেপি।
বিধানসভা ভোটে এবারই প্রথম শান্তিপুর আসনে জেতে গেরুয়া শিবির। বিধাননসভা নির্বাচনের নিরিখে শান্তিপুর পুরসভার ২৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে, ১২টি লিড পায় বিজেপি। ১২টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। শান্তিপুর বিধানসভার পাঁচটি পঞ্চায়েত এলাকায় লিড পায় বিজেপির। শান্তিপুর দখলে আগেভাগে প্রচারে নেমে পড়ল তৃণমূল। মঙ্গলবার দলীয় বৈঠকের পর, শান্তিপুর শহরে মিছিল ও প্রার্থীর নাম ফাঁকা রেখে দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু তৃণমূল। নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি রত্না ঘোষ কর বলেন, 'ভোটের জন্য ১০০ শতাংশ তৈরি, শান্তিপুর জিতছি, শান্তিপুরে যারা ২০২১ এ নেতৃত্ব দিয়েছে তারা তৃণমূলের সঙ্গে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিটটা উপহার দেবে।'
প্রচারে না নামলেও, সাংগঠনিক বৈঠকের মধ্যে দিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, উপনির্বাচনে জয়ের ব্যবধান আরও বাড়বে। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, 'নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বসেছি আমরা, প্রার্থী কে হবে তা নিয়ে আলোচনা করেছি, শান্তিপুরে ব্যবধান বেড়ে হবে ৩০ হাজার।' আগামী ৩০ অক্টোবর শান্তিপুরে উপনির্বাচন। ফল ঘোষণা হবে ২ নভেম্বর।
এদিকে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। রাত পোহালেই ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। যে কেন্দ্রে প্রার্থী স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাইভোল্টেজ উপনির্বাচনের দিকে তাকিয়ে এখন গোটা দেশ। আর নির্বাচনের কয়েক ঘণ্টা আগে ভোটার উদ্দেশে বার্তা দিলেন তৃণমূল প্রার্থী।‘গণতন্ত্রের উৎসবে নির্ভয়ে ও আনন্দে ভোট দিন। প্ররোচনা ছড়াবেন না, প্ররোচনায় জড়াবেন না।’ ভোটারদের উদ্দেশে বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এদিকে ভোটের আগের রাতে ভবানীপুর জুড়ে চলছে নাকা তল্লাশি। গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। আঁটোসাঁটো নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। ভবানীপুরে মোতায়েন করা হচ্ছে ৩৫ কোম্পানি বাহিনী। থাকছে ৯টি হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড। ভবানীপুরের ভোটে সব বুথেই হবে ওয়েবকাস্টিং।